Amit Shah

বিএসএফের মঞ্চকে ব্যবহার করে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক ছড়ালেন অমিত শাহ

জাতীয়

গুজরাটে বিএসএফের মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক ভাষণ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন শাহ বলেন, বিহারের মানুষ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। যেই সব রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকে মদত দেয় তাদের কখনও মানুষ সমর্থন করতে পারেন না। উল্লেখ্য বিহারে অনুপ্রবেশের হাওয়া তুলে এসআইআর করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এসআইআরের পর একজনও অনুপ্রবেশকারিকে চিহ্নিত করতে পারেনি কমিশন। নাম যাওয়া একজনকেও অনুপ্রবেশকারি বলতে পারেননি তারা। 
এদিন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসআইআরের মাধ্যমে ভোটার তালিকাকে শুদ্ধ করা হচ্ছে। যারা এই প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে চাইছে তারা অনুপ্রবেশকারিদের নাম তালিকায় রেখে দিতে চাইছে। অমিত শাহ বলেন, ‘‘খুঁজে খুঁজে প্রতিটা অনুপ্রবেশকারিকে দেশ থেকে তাড়ানো হবে। এটা আমাদের লক্ষ্য। কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তা ঠিক করবে দেশের মানুষ। কোন অনুপ্রবেশকারি তা ঠিক করতে পারবেন না।’’
এসআইআরকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল এবং বিজেপি। ভোটার তালিকা সংশোধনের সাথে অনৈতিক ভাবে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে নাগরিকত্বের প্রশ্ন। সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী রাজনৈতিক দল গুলো প্রথম থেকেই এসআইআরের বিরোধীতা করে আসছে। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘বছরের পর বছর মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। এটা নির্বাচন কমিশন এবং সিইও দপ্তরের অপদার্থতা। আমরা নির্ভুল ভোটার তালিকার দাবি জানাচ্ছি। নিয়মমাফিক ভোটার তালিকা সংশোধন করেই সে কাজ করা সম্ভব। এসআইআর করে নাগরিকত্বকে তার সঙ্গে জুড়ে এভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও প্রয়োজনই ছিল না।’’
সেলিম বলেছেন যে অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতি এভাবে বারবার নাগরিকদের আতঙ্কে ফেলতে চায়। এরাজ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দলকেই দায়ী করেছেন তিনি। সেলিম বলেছেন যে আতঙ্ক ছড়ানো নয়। কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না। আর মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দিতে হবে। এই দাবিতেই সরব থাকবে সিপিআই(এম)।   
উল্লেখ্য দেশের সীমানা রক্ষা করার দায়িত্ব বিএসএফের সেখান থেকে যদি অনুপ্রবেশ যদি হয়ে থাকে তাহলে তার দায় কোন ভাবে এড়িয়ে যেতে পারেনা স্বরাষ্ট্রন্ত্রক। কিন্তু এদিন এই নিয়ে কোন কথা না বলে বিএসএফের প্রশংসা করে শাহ বলেন, ‘‘বিএসএফ সব সময় সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকাতে তৎপর। অনুপ্রবেশ শুধুমাত্র দেশের জন্য বিপদ নয়, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যও বিপদ।’’ 
বলে রাখা উচিত ২২ এপ্রিল পহেলগামে যেই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল সেখানে বিএসএফের এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কী ভাবে সন্ত্রাসবাদীরা সীমানা পার করে দেশে ঢুকে এই ঘটনা ঘটালো তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

Comments :0

Login to leave a comment