রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে প্রায় এক মাস হয়ে গেল। কিন্তু এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনা সামনে আসছে। তেমনই বুধবার সকালে ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের নেতড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে ৩টি ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নেতড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯২ নম্বর বুথের ৩টি ব্যালট বাক্স এদিন উদ্ধার হয়েছে। গ্রামের একটি পুকুরে মৎসজীবীরা জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। সেই জালেই মাছের বদলে ব্যালট বাক্স উঠে আসে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন এই এলাকায় ব্যাপক গন্ডগোল হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল ব্যালট বাক্স লুট করেছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া মেটার পরেও ৩টি ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়নি।
বিরোধীরা, বিশেষ করে সিপিআই(এম)’র তরফে এই ৩টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয়। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন কিংবা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে সেই দাবি অগ্রাহ্য করা হয়।
সিপিআই(এম) নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লক ডায়মন্ড হারবার লোকসভার মধ্যে পড়ে। এই কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিতেছিল তৃণমূল। চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই অত্যাচারের উত্তর দিতে মরিয়া ছিলেন গ্রামবাসীরা। মানুষের রায় বিপক্ষে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় ব্যালট বাক্স কারচুপি করেছে তৃণমূল।
এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম)’র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক শমীক লাহিড়ী জানিয়েছেন, ব্যালট বাক্স ছাড়াই ওই ৩টি বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিভাবে সেটা করা হল? কিসের ভিত্তিতে? এর থেকেই স্পষ্ট, বিডিও, এসডিও এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কিভাবে ভোট ডাকাতি করেছে তৃণমূল।
একইসঙ্গে শমীক লাহিড়ী জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
Comments :0