চলতি অর্থবর্ষে দেশে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬.৪ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। অর্থাৎ, গতবারের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ কমছে বৃদ্ধির হার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ শেষ হবে মার্চে। তার আগে, ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হওয়ার কথা। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর বা এনএসও’র এই তথ্য বাজেট পরিকল্পনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার এনএসও’র আর্থিক বৃদ্ধির অনুমান সংক্রান্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে এই তথ্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমান ছিল চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬.৬ শতাংশে। কিন্তু এনএসও তার চেয়েও কম, ৬.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধির অনুমান করেছে।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম অগ্রিম অনুমান রিপোর্ট জানিয়েছে প্রকৃত মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৬.৪ শতাংশ। তবে টাকার চলতি মূল্যে হিসেব করলে বৃদ্ধির হার হবে ৯.৭ শতাংশ। আগের অর্থবর্ষ, ২০২৩-২৪, চলতি মূল্যে বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৬ শতাংশ। এই হিসেবেও বোঝা যাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির হার দেশে চড়া।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে বাজেট সংক্রান্ত প্রস্তাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সরকারি শূন্যপদ পূরণ, স্থায়ী চাকরিতে জোর দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
এনএসও’র অগ্রিম অনুমানে বলা হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে কৃষি এবং কৃষি সম্পর্কিত ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩.৮ শতাংশে। আগের অর্থবর্ষে এই হার ছিল ১.৪ শতাংশ। নির্মাণ শিল্পে অনুমান ৮.৬ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে ছিল ৭.৩ শতাংশ।
বেসরকারি ভোগব্যয় বৃদ্ধির হার ৭.৩ শতাংশ হবে বলে অনুমান রিপোর্টে। আগের অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। সরকারি ভোগব্যয় বা সামাজিক ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কেনার জন্য সরকরের ব্যয় বৃদ্ধির হার ২.৫ শতংশ থেকে বেড়ে ৪.১ শতাংশ হবে বলে অনুমান।
এর আগে জুলাই-সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে বৃদ্ধির হার কমে ৫.৪ শতাংশে দাঁড়ায়। ফলে বার্ষিক বৃদ্ধির হারের অনুমান রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৭.২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৬ শতাংশ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এনএসও’র অনুমান, প্রকৃত জিডিপি বা মোট জাতীয় উৎপাদন দাঁড়াবে ১৮৪.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। এই হিসেবে টাকার অঙ্কে বৃদ্ধিকে গণনা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনে প্রকৃত বৃদ্ধি বোঝা যায়। টাকার অঙ্ক ধরে জিডিপি হবে ৩২৪.১১ লক্ষ কোটি টাকা।
NSO Growth Rate
চলতি অর্থবর্ষে কমবে বৃদ্ধির হার, রিপোর্ট এনএসও’র
×
Comments :0