SC RG KAR

ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ, ‘থ্রেট কালচার’ অবাধে: সওয়াল সুপ্রিম কোর্টে

জাতীয় রাজ্য

ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। মনোনীতরা ছাত্র সংসদের নামে কাজ চালাচ্ছে। ২০২২ থেকে বন্ধ রয়েছে নির্বাচন। যার কারণে ‘থ্রেট কালচার’ চলছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে বিষয়টি সরাসরি তুললেন জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং।
প্রধান বিচারপতি ডিোয়াই চন্দ্রচূড় যদিও জানিয়েছেন যে এদিনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানোর বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়ার দিকে যাচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর কাছে সিবিআই তদন্তের পঞ্চম স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করে এদিন।
রাজ্য সরকার হলফনামায় দাবি করেছে ১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুরক্ষা সংক্রান্ত ৩০০টি কাজের নির্দেশিকা হয়েছ। কাজ চালু হয়েছে।
সিনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দী সরাসরি এই বক্তব্য খারিজ করেন। তিনি বলেন, বাস্তবে খুব সামান্য কাজের হদিশ মিলেছে। গ্রাউন্ড রিপোর্ট জানাচ্ছে বহু জায়গায় কাজ শুরু হয়নি। সুরক্ষা বিষয়ক কমিটিতে সরকার এবং প্রশাসনের পাশাপাশি জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশ দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন কোন হাসপাতালে কী ধরনের কাজ হচ্ছে তার বিশদ থাকা উচিত।
ডিজিটাল বেড বুকিং এবং কেন্দ্রীয় রেফারাল সিস্টেম চালুর প্রসঙ্গ কেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা করেন ইন্দিরা জয় সিং। তিনি বলেন,  সংযুক্ত ব্যবস্থা থাকা দরকার। সব হাসপাতালে তার ব্যবস্থা থাকছে না। রোগীরা হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। বেড রয়েছে কিনা। যে রোগী আসছেন তাঁকে চিকিৎসা করার মতো চিকিৎসক আছেন কিনা তা জানার উপায় নেই। বেড না পেলে রাগ গিয়ে পড়ছে ডাক্তারদের ওপর। তার শিকার হচ্ছেন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।
প্রধান বিচারপতি বলেন রাজ্য সরকার হলফনামায় জানাচ্ছে নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে কাজ। কোন হাসপাতালে কোন চিকিৎসক কোন রোগী। কত বেড রয়েছে সেই তথ্য থাকা দরকার। 
প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা নিয়েও। স্ট্যাটাস রিপোর্টে সিবিআই বলেছে যে ধৃত সিভিল ভলান্টিয়ার ছাড়া আর কেউ জড়িত কিনা দেখা হচ্ছে। সিনিয়র ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার এবং অন্য পক্ষগুলির আইনজীবীরা জানান যে এই সিভিক ভলান্টিয়ার আর জি কর হাসপাতালে দায়িত্বে না থাকলেও অবাধ গতিবিধি ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও আইনের আওতায় নিয়োগ করা হয় না পশ্চিমবঙ্গে। পুলিশকে সহায়তা করার কথা জানিয়েছে প্রশাসনিক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ করা হয়। যোগ্যতা বিচারের মাপকাঠি বা নিয়োগের মাপকাঠি স্পষ্ট নয়। 
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত স্কুল, হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাজ্য সরকারকে বলেছে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত থানাতেও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা যাবে না। ‘রাত্তিরের সাথঈ’ ঘোষণা করে প্রায় দেড় হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেছে রাজ্য। এদের কাউনকে আপাতত মোতায়েন করা যাবে না। আর জি কর খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে আগে অন্য অভিযোগ ছিল একথা জেনে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের থেকে জানতে চান নিয়োগের আগে এদের সম্পর্কে বিশদ জানা বা ‘ভেরিফিকেশন’ হয় কিনা। ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দাখিল করতেও বলেছে আদালত। এদের এখন কোথাও মোতায়েন করা যাবে না। 

Comments :0

Login to leave a comment