Chinsurah Municipality

বেতনের দাবিতে চুঁচুড়ার চেয়ারম্যান ঘেরাও

জেলা

চেয়ারম্যানকে ঘিরে বিক্ষোভ স্বাস্থ্য কর্মীদের। ছবি অভীক ঘোষ।

বেতন চাইতে এসে কেঁদে ভাসালেন চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী। বেতনের দাবিতে চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করেন কর্মীরা। বেতন হয়নি দু'মাস সংসার চলছে না, কবে বেতন সদুত্তর নেই পৌরসভার। চেয়াম্যানের কাছে বেতন দিন দাবি করে কেঁদেই ফেললেন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী।
গত কয়েক মাস ধরে হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। দুমাস পর তাদের বেতন দেওয়া হয় এক মাসের। একটা সময় মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পেতেন তাঁরা। এখন মাস শেষ হয়ে গেলেও বেতন কবে মিলবে তার কোন নিশ্চয়তা থাকে না। গত সোমবার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে বকেয়া বেতনের দাবিতে। সদুত্তর না মেলায় কাজ বন্ধ করে দেয়। রাতের শহর অন্ধকারে ডুবে যায় রাস্তার আলো না জ্বালানোয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা যায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্ট্রীট লাইট জ্বলছে। কে বা কারা আলো জ্বালালো স্পষ্ট নয়। এদিন পৌরসভায় বকেয়া বেতনের দাবিতে একত্রিত হন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীরা। যারা গার্ডের কাজ করেন তাঁরাও শামিল হন বেতনের দাবিতে। চেয়ারম্যান কে ঘেরাও করে রাখা হয়। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, তারা বেতন নিয়েই বাড়ি ফিরবেন। স্বাস্থ্যকর্মী গীতা পাল বেতন চাইতে এসে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন,‘‘আমরা দুমাস হয়ে গেল বেতন পাইনি নভেম্বর মাসও শেষ হতে চলল। কেন পাচ্ছিনা জানিনা। কবে বেতন হবে চেয়ারম্যান কিছু বলছে না। আমাদের সংসার চলছে না ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, ধার করে আর কত চালাবো।’’
অস্থায়ী গার্ড শেখ তাজউদ্দীন বলেন, ‘‘আগে আমরা মাসের ৮ তারিখে বেতন পেতাম। এখন দুমাস বাকি হয়ে আছে। কাজ করছি কিন্তু বেতন পাচ্ছি না। কি করে চলবে। চেয়ারম্যান বসে আছে কিছু বলছেন না।’’
হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার প্রায় আড়াই হাজার অস্থায়ী কর্মী আছেন। যারা দিন মজুরিতে কাজ করেন। গত কয়েক মাস ধরে যাদের বেতন দিতে হিম-সিম খাচ্ছে পৌরসভা। চুঁচুড়া পৌরসভার আয়ের থেকে ব্যয় বেশি জানিয়েছিলেন পৌরসভার অর্থ দপ্তরের আধিকারিক। কর্মীদের বেতন দিতে প্রতি মাসে যত টাকা প্রয়োজন সেই টাকা থাকে না বলে অভিযোগ। তাই প্রত্যেক মাসেই বেতনের সময় এলেই সমস্যা তৈরি হয়। যে সমস্যা এখনই মিটবে বলে আশা করছেন না কেউ। বেতন না হলে আগামীকাল থেকে ধর্মঘটে যাবে পাম্প অপারেটররা এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ফলে শহরের জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা। যদিও এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এখনই কিছু বলতে নারাজ।

Comments :0

Login to leave a comment