মাঝরাতে তৃণমূলের স্বসস্ত্র বাহিনীর হামলা কেশিয়াড়ী ব্লকের দুধেবুধে সিপিআই(এম) এর দলীয় দপ্তরে। তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে পার্টি অফিসের দখল নেয় তৃণমূল।
পার্টি নেতা বিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশের জামাত আর এখানকার তৃণমূল এদের মধ্যে কোনে পার্থক্য নেই। গতকাল মঙ্গলবার হাতিগেড়িয়া এরিয়া কমিটির সম্মেলন হয় এই দুধেবুধে পার্টি দপ্তরের সামনে প্যান্ডেল করে। সেই উপলক্ষে তিন কিমি পথ জুড়ে মিছিল হয়। বহু মানুষ লাল ঝান্ডার মিছিলে সামিল হয়। তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আবাস সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সীমাহীন দূর্ণীতি। এই বলগাহীন দূর্ণীতিতে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি আলগা হওয়ার দখলদারি রাজনীতি বজায় রাখতে এই হামলা করে।’’
পার্টি দপ্তরেন আগুন লাগানো হয়। পার্টির পতাকা খুলে জড়ো করে পোড়ানো হয়। শহিদ বেদী ভেঙে পুকুরের জলে ফেলে দেয় দুষ্কৃতিরা। তখন রাত ১২.৩০ টা। দপ্তরের মধ্যে বাঁকুড়া জেলার খাতড়া এলাকা থেকে আসা সড়ক রাস্তা নির্মানের আট জন শ্রমিক আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। তারা আগুন জ্বলতে দেখে বেরিয়ে এলে তাদের উপর চড়াও হয় হামলাকারীরা। বলা হয় এই খানে কেনে আশ্রয় নিয়ে আছে তারা। শীতে সড়ক রাস্তার ধারে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে থাকলেও স্থানীয় পার্টি কমরেডরা তাদের পার্টি দপ্তরে আশ্রয় দেয়। আজ ৮দিন ধরে আছেন শ্রমিকরা। তারাই আগুনে জল ঢেলে নিভিয়ে দেয়। এর পর তৃণমূল কংগ্রেসের স্বসস্ত্র বাহিনী ওই শ্রমিকদের হুমকি দেয় দপ্তর না ছাড়লে পুড়িয়ে মারার।
বুধবার সাত সকালে ঘটনাস্থলে পার্টি কমরেডরা গিয়ে দেখেন, লাল ঝান্ডার খুলে দিয়ে সেখানে তৃণমূল তাদের দলীয় পতাকা লাগিয়ে দিয়ে গেছে রাতে। শহিদবেদীতে তৃণমূলের পতাকা লাগানো। পার্টি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের সেই ঝান্ডা সরিয়ে দেয়। পুনরায় লাল ঝান্ডা দিয়ে পার্টি দপ্তর সাজিয়ে দেওয়া হয়।
কেশিয়াড়ী থানায় এমন ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পার্টির পক্ষ থেকে।
Comments :0