আরজি করের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনৃর ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ চলছে গোটা দেশ জুড়ে। এর মাঝেই এক আদিবাসী পঞ্চম শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলার বংশীহারি থানা এলাকার একটি গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে। নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেছেন, ‘‘বুধবার গভীর রাতে তাঁর ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি তার মায়ের সাথে মাসির বাড়িতে থাকতো। মাসি এবং মেসো ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছেন। রাত্রিতে মেয়েটি পড়াশোনা করে ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। তার মা ঘরের বাইরে বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন।
নির্যাতিতা মায়ের অভিযোগ, ‘‘গভীর রাতে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকতে গেলে অভিযুক্ত তাঁর চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থন থেকে পালিয়ে যায়। ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন তার মেয়ের গলায় দড়ি দিয়ে প্যাঁচ লাগানো অবস্থায় বিছানায় মেয়ে হাঁসফাস করছে। এরপর তিনি চিৎকার করে গ্রামবাসীদের জড়ো করে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত তার জুতো ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ জুতো, দড়ি ইত্যাদি সংগ্রহ করেছে। রাতেই নির্যাতিতাকে বুনিয়াদপুরে রসিদপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল সুত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে সে।
গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন,‘‘অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে সে বিবাহিত। তাদের অভিযোগ বিগত দিনে এই অভিযুক্ত আরো তিনটি এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেসের বুথ সভাপতির ছেলে জন্য পুলিশের কাছে পার পেয়ে গিয়েছে। আজ সকালে দৌলতপুর এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মর্মান্তিক নির্যাতনের ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের সঙ্গে দেখা করে নির্যাতিতার সুচিকিৎসার দাবি করেন সিপিআই(এম) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভার প্রাপ্ত সম্পাদক নন্দলাল হাজরা, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য কল্লোল মজুমদার, জেলা সম্পাদকমন্ডলির অন্যতম সদস্য গৌতম গোস্বামী, স্থানীয় নেতা পার্থ সরকার, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা সমাপ্তি পন্ডিত প্রমুখ। এদিন বিকেলে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব নির্যাতিরার গ্রামে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আইনি সহায়তা সহ সব সময় তাদের পাসে থাকার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে বংশীহারী থানার আইসিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন।
Dakshin Dinajpur Rape
দক্ষিণ দিনাজপুরে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টায় গ্রেপ্তার ১
×
Comments :0