জানা যায়, ২০০৬ সালে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে যুক্ত হন এই উত্তম চক্রবর্তী। ২০১৪ সালে এই দিনহাটা পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। আর এরপর ২০১৮ সালে রাতারাতি দিনহাটা পৌরসভার স্থায়ী কর্মী হিসাবে নিয়োগ হয় তার। আর এর মধ্যেই দিনহাটা শহরের সাহেবগঞ্জ রোডে নিজের প্রাসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। এছাড়াও আরও একটি বাড়ি এবং জমি রয়েছে তার বলে সূত্র খবর। শুধু তাই-ই নয়, দিনহাটায় রাজ্যের শাসক দলের প্রভাবশালীদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর।
উত্তম চক্রবর্তীর প্রাসাদপোম বাড়ি
২৩ ডিসেম্বর দিনহাটা শহরে ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজয় সাহা এই দিনহাটা পৌরসভার লিখিত অভিযোগ করেন। তার থেকে বাড়ির বিল্ডিং প্লান পাশ করানো বাবদ ৭৭হাজার ৫০০টাকা নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পাশ করানো এই প্ল্যান এবং ৬৫ হাজার ২৩০ টাকার রসিদ দেওয়া হয়। সম্প্রতি তার এই প্ল্যান পুনর্নবীকরণ করানোর জন্য পৌরসভায় যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন তার প্ল্যান আদৌ পাশ হয়নি, তাকে জাল সই করা প্ল্যান ও রসিদ দেওয়া হয়েছে। তার এই লিখিত অভিযোগ জমা পড়তেই পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার দিনহাটা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই অভিযোগপত্রে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, যে জাল রসিদে ৬৫হাজার ২৩০ টাকা নেওয়া হয়েছে এই ৩৩২৪/৩১/১২/২১ নম্বর রসিদে পৌরসভার জন্ম মৃত্যু নিবন্ধীকরণের জন্য বিনোদ রজক নামে অন্য ব্যক্তি ১হাজার৪৯৫ টাকা জমা দিয়েছেন। যে প্ল্যান পাশ করিয়ে অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়েছে, সেটি জাল। এরপর দিনহাটা থানা অভিযুক্ত পৌর কর্মী এই উত্তম চক্রবর্তীকে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে বারবার থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তাকে বারবার ছেড়েও দেওয়া হয়। এদিকে গত ২৭ডিসেম্বর আরও ৩টি প্ল্যান পাশ করানোর লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে দিনহাটা পৌরসভায়। সব মিলিয়ে ৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই দিনহাটা থানা পৌরসভার প্রধান করণিক জগদীশ সেন, এক এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং এক কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জানা গেছে জালিয়াতির জন্য পৌরসভার বিভিন্ন সীলমোহর বানিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পৌরসভা এলাকায় এভাবেই প্রচুর পরিমাণ জাল বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই উঠেছে অভিযোগ।
Comments :0