ডাক্তার দেখাতে আসা এক মহিলাকে অচৈতন্য করে ধর্ষণের অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার ভয়ও দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ওই মহিলার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নগদ হাতিয়ে নেয় বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতা। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গযায় উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে নূর আলম সরদার নামে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। নির্যাতিতির অভিযোগ তাঁকে ইঞ্জেকশন দিয়ে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করা হয়। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। ভয়ে স্বামীকে প্রথম কিছু জানাতে পারেননি নির্যাতিতা। পরে সাহস করে স্বামীকে সব কথা খুলে বললে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে আসেন মহিলার স্বামী। সোমবার রাতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর নির্যাতিতা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় চিকিৎসকের কাছে আসেন ডাক্তার দেখাতে। সেই সময় চিকিৎসার নামে তাঁকে প্রথমে অজ্ঞানের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপর অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করে। এমনকি আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় এবং খেপে খেপে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত চিকিৎসক। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এদিন দুপুরে ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে পুলিশ।
Hasnabad Incident
মহিলাকে অচৈতন্য করে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার চিকিৎসক
×
Comments :0