Bankura Hospital

হাসপাতাল থেকে শিশুকে নিয়ে গেল কুকুর, মানতে নারাজ স্বাস্থ্য দপ্তর

জেলা

ফাইল ছবি

চরম অমানবিক ছবি উঠে এল সোনামুখী হাসপাতাল থেকে। সোমবার সন্ধ্যায় এক অপরিনত নবজাতককে হাসপাতালের শয্যা থেকে কুকুর তুলে নিয়ে গেল। পরে মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজনের দাবি কুকুরটি মুখে করে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য হাসপাতালের চরম গাফিলতির ফলেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনা হলযে বাঁকুড়া জেলার কোচডিহি গ্রামের প্রিয়া রায় নামে এক প্রসূতি মা পেটে যন্ত্রনা নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর ইউরিন পরীক্ষার কথা বলেন। ওই প্রসূতি মা ইউরিন সংগ্রহের জন্য বাথরুমে যান। জানা গেছে বাথরুমের মধ্যেই তিনি একটি অপরিনত শিশুর জন্ম দেন। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকলে অভিযোগ যে নার্সরা আসতে দেরি করেন। পরে ওই মা’কে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে সদ্যজাতটি সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষন পর বাড়ির লোকজন শিশুটিকে দেখতে এলে দেখেন শিশুটি সেখানে নেই। একটি একটি কুকুর তাকে মুখে করে নিয়ে ছুটছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বচসা শুরু হয়। ঘটনাস্থলে সোনামুখী থানার পুলিশ পৌঁছায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মা প্রিয়া রায়কে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে রেফার করে। এই ঘটনার পর সোনামুখী হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গলবার সকালেই হাসপাতাল চত্বরে একাধিক কুকুর ঘুরে বেরাতে দেখা যায়। 
এই ঘটনায় কুকুরে সদ্যোজাতকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ছবি ‘ফেক’ বলে দাবি করল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উচ্চ পদস্থ একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিক সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে যান। হাসপাতালের অবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও।
এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার উচ্চ পদস্থ একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিক সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছে হাসপাতালের অবস্থা খতিয়ে দেখে ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।বিভিন্ন তথ্যও সংগ্রহ করেন।ঘটনাটিকে মানতে নারাজ বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। হাসপাতালের ‘গাফিলতি’’র তত্ত্ব উড়িয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় ওই মহিলা এক মাসের গর্ভবতী ছিলেন। মাত্র এক মাসের গর্ভাবস্থায় শিশু ভ্রূণের আকার অত বড় হওয়া সম্ভব নয়। সোনামুখী হাসপাতালের যে ছবি বলে চালানো হচ্ছে, সেটা ‘ফেক’।  যদিও স্বাস্য্ন দপ্তরের দাবি মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন।

Comments :0

Login to leave a comment