এদিন ম্যাচের শুরুতেই, ১০ মিনিটের মাথায় ক্লেইটন সিলভার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচের বয়স ৩০ মিনিট পেরোতে না পেরোতেই জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। নর্থইস্টের হয়ে ৩০ এবং ৩২ মিনিটে গোলদুটি করেন পার্থিব গোগোই এবং জিথিন সুব্রান। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান দলের নতুন বিদেশী জেক জার্ভিস।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে ফের একবার এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নেপথ্যে সেই ক্লেইটন। মাথা ঠান্ডা রেখে পেনাল্টি শট জালে জড়ান ক্লেইটন। এরপর সারা ম্যাচ জুড়ে তুল্যমূল্য লড়াই চালায় দুইদল। এক সময় মনে হচ্ছিল পুরো ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়বে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ৮৫ মিনিটের মাথায় গোল করে নর্থইস্টকে সমতায় ফেরান ইমরান খান। তারফলে ঘরের মাঠে খারাপ পারফর্মেন্সের ধারা বজায় রাখল ইস্টবেঙ্গল।
এদিনের ম্যাচ থেকে আরও একবার স্পষ্ট, ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ সম্ভবত চলতি আইএসএলে সবথেকে দুর্বল রক্ষণভাগ। মাঝমাঠেও ব্লকিংয়ের অভাব রয়েছে। তারফলে আক্রমণ ভাগে এবং মাঝমাঠের একটা অংশে ভালো মুভমেন্ট তৈরি হলেও তার সাহায্যে গোটা ম্যাচের দখল নিতে ব্যর্থ হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। বেশ কয়েকটি তথ্যের দিকে তাকালেই এই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। চলতি মরশুমে ১২টি গোল করে গোলদাতার তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ক্লেইটন সিলভা। ইস্টবেঙ্গলের নাওরেম মহেশ সিংও সবথেকে বেশি গোলমুখী পাস বাড়িয়েছেন। সদ্য দলে যোগ দেওয়া জার্ভিসও গোল পেয়েছেন এদিন। অপরদিকে ১৭ ম্যাচে ৩৪টি গোল খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে গড়ে ২টি করে গোল।
Comments :0