Tiljala Fire

তিলজলায় বিধ্বংসী আগুন, মৃত্যু বাবা ও ছেলের

কলকাতা

Tiljala Fire



জুতোর লেবেল ছাপানোর কারখানায় ভয়াবহ আগুন প্রাণ কাড়লো কারখানায় থাকা বাবা ও ছেলের। বৃহস্পতিবার সকালে ওই আগুনে আরো একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। নিহত ও আহতরা সকলেই একই পরিবারের বলে জানা গেছে। কী করে জুতোর ওই কারখানায় আগুন লাগলো তা জানা যায়নি। 
তিলজলা থানা সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ তপসিয়া ফার্স্ট লেনের একটি জুতো প্রিন্টিংয়ের কারখানায় আগুন লাগে। কারখানা থেকে প্রচুর কালো ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। সকাল ৭টা ২০মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। আগুন নেভাতে দমকল কর্মীরা প্রিন্টিং কারখানার ভিতরে ঢুকতে দেখতে পান দুটি দেহ। কারখানার অপর প্রান্তে গিয়ে দেখা যায় আরো এক যুবক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে।

আগুনের দাবদাহকে রুখতে এদিন দমকলকে দারুণ সমস্যায় পড়তে হয়। একটানা আগুন নেভানোর সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালানো হয় কারখানার ইতিউতি। এরপর সকাল নয়টা নাগাদ ওই আগুনকে নেভানো সম্ভব হয়। আগুন নেভানোর পর আর কাউকে উদ্ধার করতে হয়নি, এই যা রক্ষা। তিলজলা থানা সূত্রে জানা গেছে, আগুনে পুড়ে মৃত দুই জনের নাম মহম্মদ নাসিম আকতার (৪৫) এবং মহম্মদ আমির (২৬)। সম্পর্কে তাঁরা বাবা ও ছেলে। 

তপসিয়া রোডের বাসিন্দা মহম্মদ নাসিম ও মহম্মদ আমির ওই কারখানায় কাজের পর রাতে শুয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এদিনের আগুন জখম মহম্মদ জসিম (১৮) ওই কারখানায় কাজ করতেন। তিনি সম্পর্কে মৃত মহম্মদ নাসিম আকতারের ছোট ছেলে বলে জানা গেছে। মহম্মদ নাসিমের ডান হাত আগুন মারাত্মক পুড়ে গেছে। তাঁকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছে, ওই প্রিন্টিং কারখানায় হাওয়াই চটি ছাপার কাজ হতো। কারখানায় ছাপার কালি, আঠা, রবার শিট, চামড়াসহ একাধিক দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা জোরালো হয়ে আক্রমণ হেনেছে। দমকল সূত্রে এদিন ভোর সাড়ে ছয়টা নাগাদ আগুন লাগার কথা বলা হলেও স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বুধবার মাঝরাতেই ওই আগুন লেগেছিলো। ছোট ছেলে আগুন থেকে ছুটে বাঁচতে গেলে তাঁর দুই হাত বিপজ্জনকভাবে পুড়ে যায়।
 

Comments :0

Login to leave a comment