Dengue

হুগলিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত দেড়শ ছুঁইছুঁই

রাজ্য

জুতো হাতে জল পেরিয়ে স্কুলে। ছবি - অভীক ঘোষ।

বর্ষার শুরুতেই রাজ্যে ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গু। হুগলি জেলা জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে হুগলী জেলায়। বৃষ্টির জমা জলে চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ জন। জমা জলে রাস্তার উপরেই ঘুরছে মাছ, তার সাথে বাসা বাঁধছে ডেঙ্গু মশা। কোখাও কোথাও হাঁটু জল পার করেই চলছে মানুষের জীবনযাপন। আর এই এক হাঁটু জল জমে থাকায় অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না। আবার স্কুলের ছোট ছেলে মেয়েদের দেখা যাচ্ছে জুতো খুলে জুতো হাতে নিয়ে জমা জল পেরিয়ে যাচ্ছে স্কুলে।
আর এই জল দীর্ঘদিন জমে থাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। গত বছর জুন মাস পর্যন্ত হুগলি জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০০। জেলা স্বাস্থ দপ্তরের পরিসংখ্যা অনুযায়ী, জানুয়ারী মাস থেকে এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে।
বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪পরগনায় ডেঙ্গুর আধিক্য বেশি। বিভিন্ন বেসরকারি তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাস থেকে ধরলে জুনের শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের কাছাকাছি। তার মধ্যে বর্ষার সূচনা লগ্ন থেকে গত দেড় মাসেই এই সংখ্যা ৫০০-ছুঁইছুঁই। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও কলকাতায় গোটা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এরপরে রয়েছে হুগলি, নদীয়া। কলকাতা ও বিধাননগর মিলিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষত বিধাননগর, নিউটাউন, রাজারহাট, গোপালপুর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।
এদিন হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানিয়েছেন, গত বছর সরা রাজ্যে ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল। স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেবে রাজ্যে এক লক্ষের ওপর মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেকটাই কম। তবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। জল জমা আছে কিনা, কারো জ্বর হয়েছে কিনা তা দেখছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষা সব হাসপাতালেই হচ্ছে। এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

Comments :0

Login to leave a comment