selim pahalgam

প্রাণ দিয়ে বুঝিয়েছেন ঝন্টু, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েই লড়তে হয়: সেলিম

রাজ্য জেলা

সন্ত্রাসবাদ, তা যে কোনও ধরনেরই হোক, তাকে রুখতে হয়। কারণ সন্ত্রাসবাদ কেবল খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে আতঙ্কই তৈরি করে না, তাকে ভাগ করে। আজকে সোশাল মিডিয়া, আইটি সেলও সেই ভাগ করছে। 
শুক্রবার কলকাতার ধর্মতলা থেকে বামফ্রন্টের মিছিলের পর শিয়ালদহে সংক্ষিপ্ত জনসভায় একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 
সেলিম বলেন, পহেলগামের সন্ত্রাসবাদীরা ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞেস করে পর্যটকদের হত্যা করেছে মানুষকে ভাগ করার জন্য। আর আইটি সেল, সোশাল মিডিয়ায় সেই একই কাজ করা হচ্ছে। কারও হাতিয়ার বুম, কারও হাতিয়ার বোমা। তিনি বলেন যে নদীয়ার ঝন্টু আলি শেখ প্রাণ দিয়ে বুঝিয়েছেন লড়াই এককাট্টা হয়েই করতে হয়।(দেখুন ভিডিও)
এদিন শিয়ালদহে বক্তব্য রাখেন আরএসপি সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্যও। সভাপতিত্ব করেন কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক কল্লোল মজুমদার। 
সেলিম বলেন, আজকের মিছিল সন্ত্রাসবাদী হামলায় বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানোর জন্য। মানবিক দিক ধ্বংস করে দানবিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে যখন এই ধরনের হামলা হয়। অনেকসময় মানবকে দানব তৈরি করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হয়। 
তিনি বলেন, কাশ্মীরে ধর্মকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ প্রতিদিন ডানা মেলছে। তার শিকার সিপিআই(এম) কর্মীরাও। আমাদের অসংখ্য কর্মী দীর্ঘ ত্রিশ বছর এই সন্ত্রাসবাদী হামলার খুন হয়েছেন। 
তিনি বলেন, ২০১৪ পর যখন মোদীর সরকার এল অনেকে মনে করলেন এবার সব সমস্যার সমাধান হবে।  প্রধানমন্ত্রী নোটবন্দি করে বলেছিলেন সন্ত্রাসবাদ শেষ, দুর্নীতি শেষ, কালো টাকা শেষ। এরাজ্যে আমরা দেখছি কালো টাকা শেষ হয়নি। সেটা যেমন জুমলা তেমনই সন্ত্রাসবাদ শেষ করার ঘোষণাও জুমলা। আজকে তা প্রমাণিত। 
সেলিম বলেন, প্রতিদিন ওখানে হামলা হচ্ছে। সুরক্ষা কর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনীর জোয়ানরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ওখানকার নাগরিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ। 
সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদ এদের আক্রমণের লক্ষ্য নয়। ধর্মের নামে এই ভক্তমণ্ডলী বিভাজন ছড়াচ্ছে, জিগির ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতি আমরা দেখেছি। ধর্মের রাজনীতির পরিণাম আমরা দেখেছি। তখনও একটা যুদ্ধজিগির তোলা হয়েছিল। মোদী আর ইউনুসের বার্তালাপ হয়ে গেল, তারপর থেকে চুপ। 
এদের তা-ও শিক্ষা হয়নি। আর উধমপুরে প্রাণ দিয়েছেন আমাদের রাজ্যের তরুণ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। তিনি প্রাণ দিয়ে বুঝিয়েছেন লড়াই এককাট্টা হয়েই করতে হয়।
সন্ত্রাসবাদীরা বিভাজনের ছক কষেছে। পাকিস্তানে বসে তার পরিকল্পনা হয়েছে। অতীতে আফগানিস্তানে কমিউনিস্ট সরকারের পতনে পাকিস্তান এবং আমেরিকা ছক কষেছিল। হিলারি ক্লিন্টন এরাজ্যে এসেছিলেন মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য। তিনি বলেছিলেন যে কমিউনিস্টদের খতম করার জন্য ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে আমেরিকা। নাজিবুল্লাকে মুজাহিদিনরা ফাঁসি দিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের আশ্রয় থেকে বের করে এনে। 
সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী থাকলেন না। ভোটের লক্ষ্যে বিহারের মধুবনিতে চলে গেলেন। তা’হলে বোঝা যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতটা আন্তরিক এরা।

Comments :0

Login to leave a comment