Jadavpur Ragging case

যাদবপুর কান্ডেকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আদালতে দাবি সরকারি আইনীজীবীর

কলকাতা

যাদবপুর কান্ডেকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে আদালতে দাবি করলেন সরকারি আইনজীবী। সোমবার আলিপুর আদালতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে র্যা গিং কান্ডে অভিযুক্তদের পেশ করা হয়। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আরও জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে বিচারপতির কাছে আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। সেই কারণে পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়। সেই আবেদন মেনে মনোতোষ ঘোষকে ২৫ আগস্ট এবং সৌরভ, দীপশেখর দত্তকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

সওয়ালের শুরু থেকেই সরকারি আইনজীবীর নিশানায় ছিলেন সৌরভ। সেই সৌরভই হল সব কিছুর মাথা আদালতে জানালেন সরকারি আইনজীবী। সমস্ত ঘটনা এমনকি ছাত্রের মৃত্যুর পর ‘জিবি’ সমস্তটাই সাজিয়েছিলেন সৌরভ নিজে। ছাত্র মৃত্যুর পর কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সৌরভকেই দুবার জেরা করেছিলেন। ঘটনার পর অন্য এক পড়ুয়াকে পাঠানো সৌরভের হোয়াটস্েঅ্যাপ চ্যাটেরও কথাও আদালতে উল্লেখ করেছেন সরকারি আইনজীবী। ওই চ্যাটে সৌরভ লিখেছিলেন, ‘‘মা অসুস্থ হলে আমি আসি। না হলে হস্টেলে আসি না।’’ যাঁদের মেসেজ পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের এক জনের মোবাইল থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলির দাবি, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই এই কথা লেখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে মৃত স্বপ্নদীপের বাবা যেমনটা দাবি করছেন তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে, আদালতেও বিচারপতির সামনে এমনটাই দাবি করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। 


পুলিশের তরফে আদালতকে জানান হয়েছে হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। কী ভাবে র্যাকগিং হয়েছে, তার নথি মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে জমা করেছে পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment