Tangra Suicide

আগামীকাল হাসপাতালে থেকে ছাড়া হচ্ছে ট্যাংরার দে পরিবারের দুজনকে, প্রয়োজনে হেপাজতে নিতে পারে পুলিশ

রাজ্য কলকাতা

হাসপাতাল থেকে আগেই ছাড়া হয়েছিল প্রণয় দে-কে। সোমবার বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে প্রসূন এবং প্রণয়ের ছেলে প্রতীপকে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রণয়কে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্যাংরার দে পরিবারের বাকি দুই সদস্যকে হাসপাতালে থেকে ছাড়া হলে কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে কি না তা পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূনের শারিরীক অবস্থা দেখে তাদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারিরা। প্রতীপ নাবালক। তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পরিবারের কয়েকজন আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ দায়িত্ব নিতে চায়নি বলে জানা যাচ্ছে।

গত বুধবার ট্যাংরার অতুল সুর রোডের বাড়ি থেকে তিনজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই দিন সকালেই অভিষিক্তার সামনে অ্যাকসিডেন্ট করেন প্রণয় এবং প্রসূন সাথে ছিল প্রতীপ। দুই ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া ঠিকানা ধরে পুলিশ গিয়ে পৌঁছায় ২১/১ অতুল সুর রোডের বাড়িতে চার তলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি দেহ। একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু এবং তিনজনের আত্মহত্যা করার চেষ্টা রহস্য তৈরি করে। ময়নাতদন্ত করে দেখা যায় যে আত্মহত্যা হয় খুন করা হয়েছে দে পরিবারের দুই গৃহবধু এবং এক সন্তানকে।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে প্রণয় জানিয়ে ছিলেন যে তারা পরিবারের সবাই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর একাধিক প্রশ্ন সামনে আসতে শুরু করেছে যে কে বা কারা খুন করলো, তাহলে কি পরিবারের তিনজনকে খুন করার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে দুই ভাই? 

Comments :0

Login to leave a comment