Madhyamic Student helped by police

পুলিশ কাকু গাড়ি করে পৌছে দিল পরীক্ষাকেন্দ্রে

কলকাতা

দাদুর মৃত্যু হয়েছে তাই সকলেই ব্যস্ত তার শেষকৃত্য সম্পন্ন নিয়ে। তারই মধ্যে বাড়ির মেয়েটির মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে একাই বেড়িয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু বাড়ি থেক বেরতে দেরী হয়ে গেছে। কখন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছাবে বুঝতে না পেরে দিশেহারা অবস্থায় রাস্তায় কাঁদতে কাঁদতে ছুটছিল মেয়েটি। ছাত্রীকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী। অবশেষে পুলিশ কাকুর সহায়তায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছালো সে। 


বুধবার সকাল ১১.২০ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইন্সপেক্টর শৌভিক চক্রবর্তী। তাঁর নজরে পড়ে, স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে আসছে তার কাছে। কেন কাঁদছে সে জিজ্ঞেস করে শৌভিক জানতে পারেন, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়েটি, পরীক্ষার সিট পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা সে, একাই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে যেহেতু পরিবারের সকলে তার দাদুর শেষকৃত্য সারতে গেছেন তাই দেরি হয়ে গিয়েছে বেরোতে। সময়মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব, তাই কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে সাহায্যের আশায়।


সমস্যাটি বুঝতে পেরে এক মিনিটও ব্যয় না করে মেয়েটিকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেন শৌভিক, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করিয়ে নেন ‘গ্রিন করিডর’। রাস্তায় কোথাও না থেমে ঝড়ের গতিতে গাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে এগারোটায়। পুলিশ কাকুর সহায়তায় অবশেষে নিশ্চিন্তে পরীক্ষায় বসতে পারে মেয়েটি।

Comments :0

Login to leave a comment