অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ভাইপোর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ওই ছাত্রীকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার কিট পাঠানো হয়। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এলাকার ঘটনা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত গোলাম মাসুদ মুহম্মদকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। আদালত অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বরিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর)শোভণিক মুখোপাধ্যায় সংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, শনিবার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতা ছাত্রী ও অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা এলাকার একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত টোট চালক। সেই সুবাদে টোটো করে মাঝেমধ্যেই স্কুলে যেতো নাবালিকা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিস্তা উদ্যান এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে জোর করে একটি চকলেট খাওবালে ছাত্রী তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তারপর তিস্তা পারে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ চালায় অভিযুক্ত। এমনকি নির্যাতিতাকে ভয় দেখানো হয় এই বিষয়ে মুখ না খোলার জন্য। নির্যাতিতার স্কুল ব্যাগ প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট দেওয়া হয়। পরিবার তাঁর ব্যাগে এই কিট কি ভাবে এসেছে জানতে চাইলে নির্যাতিতা বলেন, তাঁকে যৌন নিগ্রহ করার পর এই কিট দিয়েছে। নির্যাতিতার দিদার বক্তব্য আমার নাতনির জীবন শেষ করে দিলো। আমি সুবিচার চাই। নির্যাতিতার দাদুর কথায়, ঘটনার পর মনমরা হয়ে থাকতো নাতনি। প্রাণ শংশয়ের ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে চায়নি। তাঁর মা মনমরা হয়ে বসে থাকার কারণ জানতে চাপ দিলে সব খুলে বলে। অভিযুক্তের কাকা গ্রামের তৃণমূল নেতা। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিন পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক দাবি করেন ,অভিযুক্তের কাকা তৃণমূল করেন। ভাইপো আমাদের কেউ নয়। আমরা মমতা ব্যানার্জীর দল করি। তাই এইসব একদম বরদাস্ত করি না।
Jalpaiguri
নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ভাইপো

×
Comments :0