Nurse Harrassed

আক্রান্ত নার্স, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর

রাজ্য জেলা

ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে দুবরাজপুরের হাসপাতালের ঘটনা। মধ্যরাতে হাসপাতালে শাসক দলের কাউন্সিলরের দাদাগিরি। লক্ষ্য এক মহিলা নার্স! আর জি কর কান্ডের আবহও যে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নূণ্যতম আঁচর কাটে নি প্রমানীত হয়েছে ফের। 
কর্তব্যরত নার্সের স্পষ্ট অভিযোগ, শাসকদলের কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে তাকে টানাটানি, গালিগালাজ, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হয়েছে। শুধু নার্সই নয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্তব্য কনস্টেবল ঘটনা সামাল দিতে গেলে তাঁর উপরও চড়াও হয় ওই কাউন্সিলর। ধাক্কাধাক্কি, গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে বলে স্পষ্ট অভিযোগ কনস্টেবলের। তবে চারপাশের ঘটনার আঁচ উপলব্ধি করেই নার্স ও কনস্টেবলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউন্সিলরের দিকে পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। 
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার মধ্যরাতে। বীরভূমের দুবরাজপুরের ৭ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সেখ নাজিরুদ্দীন শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তিনি স্থানীয় মানসায়র হাসপাতালে যান। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে রক্তচাপ মাপার জন্য বলেন। সেখানেই কর্তব্যরত নার্স রক্তচাপ মাপার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে কর্তব্যে বিলম্বের অভিযোগ তুলে ‘অসুস্থ’ কাউন্সিলর নার্সের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ শুরু করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিমেষে। বাদানুবাদ তুঙ্গে ওঠে। সেই সময় হাসপাতালেই কর্তব্যরত কনস্টেবল ছুটে এসে কাউন্সিলরকে বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে তার উপর চড়াও হয় ওই কাউন্সিলর বলে অভিযোগ। যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। কনস্টেবলের ফোন পেয়ে পুলিশের মোবাইল ভ্যান গিয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসে। সোমবার ঘটানর পরিপ্রেক্ষিতে নিজের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত নার্স। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মধ্যরাতে রক্তচাপ মাপার জন্য সেখ নাজিউরুদ্দীন এলে আমি তাকে বসতে বলি। কিছুক্ষনের মধ্যে তিনি উদ্যত হয়ে ‘আমি কে জানেন ?’, এই বলে আমাকে গালিগালাজ করতে শুরু করে। অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে। এমনকি আমাকে টানাটানি পর্যন্ত করেছেন। আমি আমার উরদ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বাড়ি থেকে দূরে একা থাকি চাকরি সূত্রে। যথেষ্ট আতঙ্ক দাঁনা বেঁধেছে এই ঘটনায়।’’ 
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কর্তব্যরত কনস্টেবলের পক্ষ থেকেও। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর গায়ে হাত, সরকারি কাজে বাধা, অভব্য আচরণ সহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর রুজু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এসবের ভীত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment