Swarupnagar

ছিনতাই-শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্বরূপনগরে গ্রেপ্তার সিভিক ও ভিলেজ পুলিশ

জেলা

আর জি কর হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ার। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে লক্ষাধিক সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সমালোচনার মুখে রাজ্য সরকার। অতীতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সিভিকের দাদাগিরি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একাধিক ঘটনায় গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটে গেছে। তারপর আর জি করে ঘটে যাওয়া নারকীয় নৃশংসতায় অভিযুক্ত সেই সিভিক ভলান্টিয়ার। 
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার অধীনে সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধেই ফের উঠলো শ্লীলতাহানি ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। যদিও এখানে বাড়তি সংযোজন এক ভিলেজ পুলিশও। মহিলার শ্লীলতাহানি ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বরূপনগর থানার ভিলেজ পুলিশ সহ এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ধৃত ভিলেজ পুলিশ মোহিত সরদার ওরফে মিলন ও ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার জসিমউদ্দিন সরদার। এরা দুজনেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরূপনগর থানার পদ্মবিলা গ্রামের বাসিন্দা।
ধৃতদের বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি অভিযোগকারী মহিলা ও তার বাবাকেও গোপন জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর বাবাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দির জন্য পাঠানো হলে আদালত আগামী ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার। পাশাপাশি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার জসিমউদ্দিন সরদার ও ভিলেজ পুলিশ মোহিত সরদারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায়, বেঙ্গালুরু থেকে এক মহিলা তাঁর বাবাকে নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার স্বরূপদহ গ্রামে। সেই সময় কর্তব্যরত ভিলেজ পুলিশ মোহিত সরদার ও সিভিক ভলান্টিয়ার জসিমউদ্দিন সরদারের নজরে তারা ওই মহিলা এবং তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে স্বামী ও ছেলের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বরূপদহ গ্রামে আসে। মহিলার বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ সুযোগ বুঝে তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং কুপ্রস্তাব দেয়। রীতিমত তারা টানাহেঁচড়াও শুরু করে। মহিলার বাবার বয়ান অনুযায়ী মেয়ের কাছে থাকা নগদ ৪৬ হাজারের মতো টাকা কার্যতঃ জোরপূর্বক কেড়ে নেয় এবং তাতে ক্ষান্ত না হয়ে অনলাইন মারফত অর্থাৎ ফোন পে তে প্রার ৪০ হাজারের মতো টাকা নিয়ে নেয়। অসহায় ওই মহিলা এরপর স্থানীয় মানুষদেরকে বিষয়টি জানায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বরূপনগর থানায় আসে। গোটা ঘটনা খুলে বলে পুলিশকে। এরপর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশ মোহিত সরদার ও সিভিক ভলান্টিয়া জসিমউদ্দিন সরদারকে গ্রেপ্তার করে।

Comments :0

Login to leave a comment