Prakash Karat

হারাতে হবে বিজেপি, তৃণমূলকে : কারাত

রাজ্য জেলা

রাজ্য সম্মেলনের প্রতিনিধি অধিবেশনের সমাপ্তির পর ডানকুনি ফুটবল ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশে প্রকাশ কারাত বলেছেন, পার্টির ২৪ তম কংগ্রেস এপ্রিলে মাদুরাই শহরে হবে। তার আগে গোটা দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের সম্মেলন চলছে। এই রাজ্যের ডাকুনিতে চারদিন এই রাজ্য সম্মেলন অনু্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন সফল করতে হুগলির মানুষ যেই সমর্থন জানিয়েছেন তার জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞ।
এই সমাবেশ প্রমাণ করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) হুগলি জেলার মানুষের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে চলছে। পার্টির জেলা কমিটিকে এর জন্য অভিনন্দন জানাই। 
তিনি বলেন, গত সম্মেলন থেকে এই সম্মেলন পর্যন্ত দলীয় কর্মীরা সাহসের সাথে কাজ করেছেন সব প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে। গরীবের দাবি দাওয়া নিয়ে লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পার্টি কর্মীরা। অনেক দমন পীড়নকে সহ্য করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। বিজেপির সাম্প্রদায়িক নীতি এবং তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে চলছে লড়াই। গোটা দেশে আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুধে লড়াই করছি। কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে চলছে লড়াই। দেশের সংবিধান শেষ করার জন্য বিজেপির যেই ভূমিকা তার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি গুলোকে সাথে নিয়ে আমরা লড়াই চালাচ্ছি। রাজ্যে তৃণমূলের যেই সরকার চলছে তা দুর্নীতিগ্রস্থ। এই সরকারের যেই জনবিরোধী চরিত্র তার বিরুদ্ধে চলছে লড়াই, তার সাথে বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। কারাত আরও বলেছেন, গত তিন বছর বাংলার মানুষ ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না। তাদের কাজের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা কখনো মেনে নেওয়া যায়না।  কাজের অধিকার আইন সবার জন্য। কিন্তু মমতার সরকার সেই আইনকে উপেক্ষা করছে। হাজার হাজার কোটি টাকার যেই ক্ষতি মানুষের হয়েছে তা পূরণ করতে হবে। মহিলাদের নিরাপত্তা নেই রাজ্যে। চারদিন এই রাজ্যের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দেখেছি নারী নির্যাতনের খবর। এই জেলারই এক মহিলার গতকাল মৃত্যু হয়েছে কটূক্তির হাত থেকে বাঁচতে। এর থেকে নিন্দনীয় কিছু হতে পারে না। আর জি কর কাণ্ড গোটা দেশ দেখেছে। 
এই গুন্ডা রাজের বিরুদ্ধে আমাদের পার্টি সামনে থেকে লড়াই করবে। এই বাহিনীকে ব্যাবহার করা হয়েছিল আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে, আজ মানুষের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাবহার করা হচ্ছে। এই সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের অপশাসন এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। 
রাজ্যে বামপন্থীরা শক্তি শালী ছিল বলে কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি অতীতে মাথা তুলতে পারেনি। আজ তৃণমূলের জন্য এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে যাতে বিজেপি আরএসএস শক্তি শালী হয়েছে। আরএসএস এই রাজ্যকে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির ঘাঁটি করতে চাইছে। মোহন ভগবৎ এই রাজ্যে এসেছিলেন, কি ভাবে আর এস এস কে শক্তিশালী করা যায়। 
মোদী সরকার মুখে হিন্দু বলছে কিন্তু ওরা আদতে আদনি আম্বানিদের জন্য কাজ করে। বিজেপি এই রাজ্যে এলে এই কর্পোরেট শক্তি বাংলাকে লুঠ করবে। এই সমাবেশ প্রমাণ করছে রাজ্যের মানুষ বামপন্থী বিকল্প শক্তিকে দেখতে চাইছে।

Comments :0

Login to leave a comment