অবশেষে চলে এলো ভারতীয় ফুটবলের বহু প্রতিক্ষিত আনোয়ার আলির রায়। পিএসসি’র রায় ঘোষণায় উঠে এলো তিনটি জিনিস ।
প্রথম - মোহনবাগানের সাথে আনোয়ারের চুক্তিভঙ্গের বিষয়টিকে পিএসসি অনেক আগেই 'আনজাস্ট' বা অনৈতিক বলে জানিয়েছিল। তাই এইবার সেই কারণেই তাকে ৪ মাস নির্বাসিত করা হল। আজ রায় ঘোষণার দিন থেকে অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ মাস ক্লাব ফুটবলের কোন ম্যাচেই মাঠে নামতে পারবেননা আনোয়ার।
দ্বিতীয় - মোহনবাগানের সাথে চুক্তিভঙ্গের আগেই তার প্যারেন্ট ক্লাব দিল্লি এফসি থেকে ইস্টবেঙ্গলে আনোয়ার একটি 'সিচুয়েশনাল কন্ট্রাক্ট' এ সই করেছিলেন। তাই সেই কারণেই এই দুই ক্লাবের উপরে জারি করা হল দুই মরশুমের ট্র্যান্সফার ব্যান। অর্থাৎ দুই মরশুম আর কোন ফুটবলারকেই সই করাতে পারবেনা এই দুই ক্লাব ।
তৃতীয় - ট্র্যান্সফার ব্যানের সাথে সাথে পিএসসি থেকে আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা হয় । মোহনবাগানের সাথে আনোয়ারের চুক্তির মোট অংক ছিল প্রায় ৯ কোটি টাকা। এছাড়াও অন্যান্য লজিস্টিকস খরচা মিলিয়ে পিএসসির রায়ে মোহনবাগানকে মোট ১২ . ৯০ কোটি টাকার জরিমানা দিতে হবে আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসিকেই।
বলা যেতে পারে এই শুনানিতে ন্যায়বিচারই পেলো মোহনবাগান। তবে এই নাটক এখনই হয়তো শেষ হচ্ছে না। এই জরিমানার অংকের বিরুদ্ধে হয়তো ফিফায় দাবি জানাতে চলেছে লাল হলুদ ব্রিগেড। মোহনবাগানের আইনজীবীরাও তৈরি সেটা চ্যালেঞ্জ জানাতে। তাই সবমিলিয়ে আনোয়ার আলির ক্যারিয়ার এখন বিশবাঁও জলে। জানুয়ারির আগে কোন মতেই ক্লাব ফুটবলে ফেরা সম্ভব নয় আনোয়ারের।
Comments :0