Protest

তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত ভেসেল চালক সহ চারজন, প্রতিবাদে স্তব্ধ হয়ে যায় গাড়ি পাড়াপাড়

জেলা

Protest


শাসকদলের কর্মীদের হাতে ভেসেলের চালক সহ চারজন আক্রান্ত হিঙ্গলগঞ্জে। অভিযোগের তীর বিধায়ক অনুগামীদের দিকে। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে যায় গাড়ি পাড়াপাড়। শেষে বিডিও এবং রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের মধ্যস্থতায় এদিন দুপুর ১ টার পর স্বাভাবিক হয় ভেসেল পরিষেবা।


জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জের নেবুখালি থেকে দুলদুলি ইছামতি নদীর উপর যানবাহন পরিবহনে ভেসেল সার্ভিসের ব্যাবস্থা করা হয়েছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে। প্রতিদিন নিয়ম করেই ভেসেলটিতে পার হয়, শ'য়ে শ'য়ে ছোট বড় মাঝারি বিভিন্ন মাপের যানবাহন। এমনকি সামসেরনগর থেকে বারাসত পর্যন্ত সরকারি বাস ও পাড়াপাড় হয় এই সরকারি ভেসেল পরিবহনের সাহায্যে। প্রতিদিনকার মতো বৃহস্পতিবার ভেসেল সার্ভিস চালু ছিল। ভেসেলটির নাম এম ভি মেঘমল্লার। ভেসেলের চালক নুরুল আমিন গাজির অভিযোগ, ওইদিন ভেসেলে করে হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলের ব্যবহৃত গাড়িটি পার হয়। সারাদিন সব ঠিকঠাকই ছিল। রাত ৭টা নাগাদ বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত ১৫-২০ জন যুবক আসে ভেসেলে। আমাকে প্রশ্ন করা হয় ভেসেল চলাচলের সময় ও নিয়মকানুন কী আছে? আমি তা সবিস্তারে জানাই। তখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধায়ক অনুগামীরা।

 তারা ফের প্রশ্ন করে কেন বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলকে তার ব্যবহৃত গাড়িটির জন্য দীর্ঘক্ষণ নেবুখালিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে? প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোন সুযোগ না দিয়েই আমার উপর চড়াও হয় বিধায়ক অনুগামীরা। আমাকে রক্ষা করতে এসে ভেসেলের বাকি তিনজন কর্মচারীকেও বেধড়ক মারধর করে বিধায়ক অনুগামী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আমরা ভীষণ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তিনি এও জানান, সমগ্র ঘটনার বিবরণ দিয়ে। হেমনগর কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ইছামতি নদীর বুক চিড়ে বন্ধ থাকে ভেসেল চলাচল। বিধায়ক অনুগামীদের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল। বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলকে বারবার ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় না। অভিযোগ পেয়ে পরিবহন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এদিন তড়িঘড়ি এসে পৌঁছান। পুলিশের পাশাপাশি পরিবহন আধিকারিকদের পক্ষ থেকেও সমান্তরাল তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।

Comments :0

Login to leave a comment