ছাত্রদের কাছে আরএসএস এবং বিজেপির বিপদ বোঝাতে বাড়তি উদ্যোগ নিচ্ছে এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিকে হারানোর প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে প্রথমে সংগঠনের কর্মীদের কাছে, তারপর বৃহত্তর ছাত্রসমাজের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ নিয়েছে এসএফআই।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্জ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে এসএফআইয়ের ১৬০০র বেশি ইউনিট ও ৪১৪ টি লোকাল কমিটি রয়েছে। প্রতিটি ইউনিট ও লোকাল কমিটিতে আলোচনাসভা করে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ গড়ে ওঠার প্রেক্ষিত, দেশে বিজেপিকে পরাস্ত করা এবং এ রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাস্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চর্চা করবে ছাত্রকর্মীরা।
প্রয়াত ছাত্রনেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী (প্রয়াণ ৩রা অগাস্ট, ২০০৯) ও শ্যামল চক্রবর্তী (প্রয়াণ ৬ই অগাস্ট, ২০২০) প্রয়াণদিবস উপলক্ষ্যে ৩-৬ই অগাস্ট এই পরিকল্পনা করা হয়েছে ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে। আগামী ১১ অগাস্ট ক্ষুদিরাম বসুর শহীদদিবসে রাজ্যজুড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘‘নাথুরামের ভারত বনাম ক্ষুদিরামের ভারত’’ বিষয়ের উপর সভা করবে এসএফআই।
১২-১৫ই অগাস্ট রাজ্যজুড়ে সমস্ত লোকাল কমিটিকে যুক্ত করে ‘আজাদি র্যািলি’ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা সহ। থাকবে মনীষীদের ছবি ও বক্তব্য সম্বলিত পোস্টার প্ল্যাকার্ড। ৬ ও ৯ অগাস্ট হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবসে সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতির আহ্বান রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার ইত্যাদি সংগঠিত হবে রাজ্যজুড়ে।
সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘যেই কর্মসূচি সলগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তার সাথে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর জুড়ে জেলায় জেলায় চোরমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে অবিলম্বে স্বচ্ছ ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবিতে পথে নামবে এসএফআই।’’
আট বছর রাজ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্র সংসদের নাম করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিয়ন গুলি দখল করে রয়েছে বেআইনি ভাবে। ছাত্র সংসদ নেই। কিন্তু ছাত্র সংসদের নাম করে প্রতিবছর ছাত্র ভর্তির সময় টাকা নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এসএফআই।
Comments :0