ট্যাব দুর্নীতিতে যুক্ত আরো একজনকে শিলিগুড়িতে গ্রেপ্তার করলো সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। প্রধাননগর থানা এলাকার দেবীডাঙ্গা এলাকা থেকে বুধবার রাতে বর্ধমান সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, ধৃত যুবকের নাম রবীন্দ্র প্রসাদ সিং। বিহার কিশানগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। চোপড়ায় গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালাতো ধৃত। আর সেখান থেকেই ট্যাব দুর্নীতির টাকা নয়ছয় করে বিভিন্ন আকাউন্টে পাঠাতো। এই কাজ করার জন্য ধৃত যুবককে টাকাও দেওয়া হতো। বুধবার রাতে গ্রেপ্তারের পরে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে তুলে ধৃত ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি বর্ধমানে ট্যাবের টাকা না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে রবীন্দ্র প্রসাদ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ট্যাব দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে এমনই নজীরবিহীন ঘটনার চিত্র ধরা পড়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের অমলঝাড়ি গ্রামে। অভিযোগ চোপড়ার ধৃত নূর আলম অমলঝাড়ি গ্রামে নাসিরা খাতুন নামে এক মহিলার কাছে গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর চেয়েছিল। নূর আলমের পাতা ফাঁদে নাসিরা এলাকার পাঁচজনের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়। তাদের অ্যাকাউন্টে টাকাও আসে। সেই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে ভাগবাটায়ারা করে নেয়। ১৫ নভেম্বর অভিযুক্ত নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে পূর্বমেদিনীপুর থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই নাসিরা খাতুনের নাম জানতে পারে। মঙ্গলবার রাতে নাসিরা সহ বাকিদের ধরতে অমলঝাড়ি গ্রামে হানা দিয়েছিল পুলিশ। নূর আলমের গ্রেপ্তারের পরেই অমলঝাড়ি গ্রামের মানুষ বুঝতে পারে পুলিশ তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে পারে। এই আশঙ্কা করে অভিযুক্ত নাসিরা সহ এলাকার পাঁচটি পরিবারের পুরুষরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ অমলঝাড়ি গ্রামে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছে। শুনশান গোটা এলাকা। নাসিরার শ্বাশুড়ির দাবি নূর আলমের নির্দেশ মত সে এই কাজ করেছে। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকাও পেয়ে গেছে। দুই দিন আগে পুলিশ গ্রামে এসেছিল। কিন্তু কাউকেই পায় নি। গ্রামের পুরুষ সহ নাসিরা কোথায় গেছে তা তাদের জানা নেই। গ্রাম পুরুষ শুন্য নিয়ে নাসিরা শ্বাশুড়ি বলেন, পুলিশের ভয়ে গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি।
Tab Scam: 1 more Held
ট্যাব কাণ্ডে শিলিগুড়িতে ধৃত এক, ‘অ্যাকাউন্ট ভাড়ায়’ অভিযুক্তরা বেপাত্তা
×
Comments :0