তেজস্বী বলেন, ‘‘বিহার বিভিন্ন দিক থেকে অন্যান্য রাজ্য গুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছে। মাথা পিছূ আয়, শিল্পায়ন, কৃষদের আয়ে সবার থেকে পিছিয়ে। এগিয়ে আছে বেকারত্বের দিক থেকে, পরিযায়ী শ্রমিকের দিক থেকে, দারিদ্রতার দিক থেকে।’’
এর আগে মৌথিহারিতে চিনির কল, কাটিহালি পাট কল তৈরি কথা বলেছিলেন মোদী। কিন্তু একটাও বাস্তবায়িত হয়নি। তেজস্বী এদিন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন মৌথিহারিতে চিনির কল হবে, চিনি দেওয়া চা খেতে পারবে সবাই। আমি জানতে চাই উনি কবে চিনি দেওয়া চা খাবেন।’ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, নির্বাচনের আগে এসে প্রতিবার ভাষন দিয়ে চলে যান কিন্তু কিছু বাস্তবায়িত হয় না।
বিহারের জন্য বিশেষ প্যাকেজের কথাও বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আরজেডি নেতা। কৃষকদের সমস্যা নিয়েও সরব হয়েছেন তেজস্বী।
তিনি বলেন, ‘‘বিহারের কৃষকদের জন্য কি করেছে এনডিএ সরকার। ফসলের দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। ওরা বলেছিল ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন হবে। কিন্তু তা হয়নি। বিভিন্ন সমস্যা কৃষকরা জরজ্বরিত। তাদের জন্য কি করেছে সরকার?’’
চলতি বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। ২০২০র নির্বাচনে ২৩৪টি আসনের মধ্যে আরজেডি পায় ৭৫, বিজেপি ৭৪, জেডিইউ ৪৩, কংগ্রেস ১৯। আরজেডি, জেডিইউ এবং কংগ্রেস জোট করে সরকার গঠন করলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই জোট ভেঙে যায়।
Comments :0