TMC ATTACKS CPI(M) RALLY

বোমা ছুঁড়েও আটকানো গেল না মিছিল

রাজ্য জেলা

CPIM LEFT FRONT WEST BENGAL PANCHAYAT ELECTION TMC CORRUPTION

বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের দেশপ্রাণ ব্লকের নামালডিহা থেকে জগদীশপুর মোড় পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন সিপিআই(এম)। সেই মিছিল আটকাতে ছনবেড়িয়ার কাছে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তারপরেও মিছিল আটকানো যায়নি। ১৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেই জগদীশপুর মোড়ে পৌঁছয় মিছিল। 

মিছিল শেষে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রতিদিন লুটের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলার প্রতি প্রান্তে বোমা বন্দুকের রাজনীতি আমদানি করছে তৃণমূল। মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকা দখলের রাজনীতি করছে তৃণমূল এবং বিজেপি। কে কত বড় মস্তান তা জাহির করতে মাঠে নামছে দুই দল। কিন্তু তৃণমূল বা বিজেপির এই রাজনীতি মানুষ যে প্রত্যাখ্যান করেছে তা এদিনের মিছিলই প্রমাণ করেছে।’’ 

এপ্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশপ্রাণ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে তৃণমূল। ২০১০ সালে জগদীশপুর মোড়ে খুন হন সিপিআই(এম) কর্মী মধুসূদন হাজরা। একই জায়গায় ২০১৩ সালে খুন হন সিপিআই(এম) নেত্রী দিপালী গিরি। ২০১৯ সালে জগদীশপুর মোড় অবধি শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বামপন্থীরা। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত প্রধান ইন্দু গিরির নেতৃত্বে সেই মিছিলেও হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, মোটরবাইকে চড়ে মিছিলের আগে গুলি ছুড়তে ছুড়তে গিয়েছিলেন তিনি। এবং গোটাটাই হয়েছিল জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের চোখের সামনে। 

সেই সন্ত্রাসবিদ্ধ এলাকায় বৃহস্পতিবার বামপন্থীরা বিশাল মিছিল শুরু করায় ভয় পায় তৃণমূল। তার ফলেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, মিছিল যখন ছনবেড়িয়া পেরোচ্ছে, তখনই তার ২০০ মিটার আগে ৩টি বোমা ছোড়া হয়। ২০১৯ সালের মতো ২০২৩ সালেও পুলিশের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও তারপরেও কয়েকশো বাইক সহ লালঝান্ডার মিছিল ১৬ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে জগদীশপুর পৌঁছয়। 

এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, অনাদি সাহু সহ শীর্ষ বাম নেতৃবৃন্দ। 

এদিন অনাদি সাহু বলেন, ‘‘শ্রমিকের কাজের নামে পুকুর চুরি করেছে তৃণমূল সরকার। সাদা খাতা জমা দিয়ে এরাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি হয়।  তারফলে শ্রমিকক্ষেতমজুর এবং কৃষক পরিবারের ছেলেমেয়ারা ভুয়ো শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতে বাধ্য হচ্ছে। গোটা রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। কলকারখানা বন্ধ। নতুন কারখানার সৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। অথচ টাকা চুরি করে এই সরকারের নেতা মন্ত্রীরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে’’। এদিনের  সভা পরিচালনা করেন সিপিআই(এম)’র জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি।

Comments :0

Login to leave a comment