বিশ্বনাথ সিংহ- রায়গঞ্জ
সেচ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের হেমতাবাদ ব্লকের সহ-সভাপতি বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদ থানার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহাড়পুরের বাসিন্দা আলাউদ্দিন সরকার তার ছেলের চাকরির জন্য ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেয়। দীর্ঘ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও চাকরি না হওয়ায় হেমতাবাদ থানায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মজিবুর রহমান ওরফে দুলালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অভিযোগ হওয়ার পর সাড়ে আট লাখ টাকার মধ্যে তিন লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন। এখনো প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার কাছে পাবেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারি আলাউদ্দিন সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার ছেলে আরমান সরকার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সেচ দপ্তরের চাকরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মজিবুর রহমান ওরফে দুলাল। জমি বিক্রি করে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এখন বলছে টাকা দেব না যা করার করে নিয়ো। তার স্ত্রী হেমতাবাদ এলাকার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যার পাশাপাশি কর্মাধ্যক্ষ।’’
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন প্রভাস সিংহ। বর্তমানে এই মামলা দেখভাল করছেন হেমতাবাদ থানার বড়বাবু অরুন সিংহ। হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা বলেন, ‘‘তিনি যে অভিযোগ করেছেন সেখানে মজিবুর রহমান ওরফে দুলালের নাম নেই। ওয়ান লিডার হিসাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার অভিযোগকারী আলাউদ্দিন সরকারকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।’’
তৃণমূলের দাপুটে নেতা মজিবুর রহমান ওরফে দুলাল সরকার বলেন, ‘‘থানায় আমার নামে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ওয়ান লিডার সে যে কেউ হতে পারে। তাই এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না।’’ যদিও আলাউদ্দিন সরকারের বক্তব্য, মুজিবুর রহমান হেমতাবাদ ব্লকের তৃণমূলের দাপুটে নেতা। তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্যা। হেমতাবাদের বিধায়ক তথা মন্ত্রী তার ছায়া সঙ্গী। তাই ওর নাম দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিনি। যা বলার পুলিশকে ও বিচারককে বলেছি। প্রয়োজনে বিচারককে আবার বলবো।
TMC Corruption
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা তৃণমূল নেতার
×
Comments :0