বীরভূম জেলায় মূক ও বধির গৃহবধূকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুরারই থানা এলাকায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ওই অভিযুক্তের নাম তাপস মন্ডল। তৃণমূলের পঞ্চায়েতে সদস্যার স্বামী। বাড়ি রামনগরে।নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বুধবার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী বোবা কালা কথা বলতে পারেনা। মঙ্গলবার আমি সকালে মাঠে ছিলাম, বাড়িতে একা আমার স্ত্রী ছিল। সকাল দশটা নাগাদ মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখি, আমার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। আমি দরজা ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করি। সেই সময় পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে যায়। অভিযুক্ত তাপস মন্ডল দরজা খুলে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। দেখি আমার স্ত্রী মুখে কাপড় গোঁজা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তখন আমার স্ত্রী ইসারায় বলে আমাকে বাড়িতে একা পেয়ে আমার মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে ধর্ষণ করছে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যায়। তখন তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে ওই অভিযুক্তের পরিবার আমার উপর চাপ সৃষ্টি করে যে গ্রামেই মীমাংসা করার জন্য। যদি আপস মীমাংসা না করি তাহলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ওই দিন সন্ধ্যায় মুরারই থানায় লিখিত অভিযোগ করি তাপস মন্ডলের বিরুদ্ধে। এর পরে রাতে থানা থেকে ফিরে এসে দেখি আমার জলের কল ও বার্থরুমের কল সহ বাড়ির আসবাব পত্র ভাঙ্গ চুর করেছে। তৃণমূলের এত অত্যাচার কি করে সহ্য করবো? আমিও তো তৃণমূল করি। আমার বোবাকালা স্ত্রীকে একা পেয়ে তার উপর পাশবিক অত্যাচারের বিচার চাই। আমারা ভয়ে বাধ্য হয়ে থানায় আশ্রয় নিয়েছি।
মুরারই থানার ওসি তন্মময় ঘোষ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার নির্যতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক।এই বিষয়ে রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই খবর পাওয়ার পর সিপিআই(এম) মুরারই এরিয়া কমিটির এক প্রতিনিধি দল মুরারই থানার ওসিকে বিক্ষোভ দেখান ও ডেপুটেশন দেন। তাঁরা দাবি করেন অবিলম্বে ধর্ষক তৃণমূলের নেতা তাপস মন্ডলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, নাসরিন সুলতানা, শ্যামলী রাজবংশী, আতিউর রহমান, এরুল শেখ ও বন্যেশ্বর মুর্ম্মু। ওসি জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করা হবে। আর সবটাই হবে আইন মোতাবেক। থানা থেকে বেরিয়ে এসে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের শাসনকালে মহিলাদেল ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই। ৩দিন আগে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে জেলার খয়রাশোল ব্লকের মুক্তিনগর গ্রামে। সেখানেও ধর্ষক তৃণমূলের নেতা। পুলিশ প্রশাসন কে এই বিষয়ে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
Birbhum Rape
মূক ও বধির গৃহবধূকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল নেতা, প্রাণে মারার হুমকি

×
Comments :0