ই-রিক্সা হলেও চালু কথায় টোটো। জনপরিবহণে অত্যন্ত গুরুত্বের। কিন্তু টোটো চালকরাই বারবার প্রশাসনিক নানা বাধার কারণে পড়ছেন অসুবিধায়। একগুচ্ছ দাবি তুলে মালদহের টোটো চালকরা দেখা করলেন জেলা শাসকের সঙ্গে। সিআইটিইউ অনুমোদিত মালদহ জেলা ই-রিক্সা ড্রাইভার এন্ড অপারেটার ইউনিয়নের উদ্যোগেই বৃহস্পতিবার দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি।
টোটো চালকের অন্যতম সমস্যা হলো শহরের বাইরে থেকে এলেই বিভিন্ন বিধিনিষেধের আওথায় পড়তে হচ্ছে। মোট ১০ দফা দাবি ছিল স্মারকলিপিতে। টোটো চালকদের দাবি, শহরের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে এমন সমস্ত ই-রিক্সাকে শহরে চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। ২০১৯ সালে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন মালিকের একটি ই-রিক্সার লাইসেন্স থাকবে। টোটো চালকদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি সরলীকরণ করে দালাল চক্রের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
আরটিও কোনএ কারণ না দেখিয়ে ৫০৪০ টাকা থেকে ১০০৪০ টাকা ফাইন আদায় করছে, অভিযোগ টোটো চালকদের। ট্রাফিক পুলিশের এই জুলুম বন্ধ করার দাবিও তুলেছেন টোটো চালকরা। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনার দাবি করা হয়েছে।
এদিন দুপুরে শহরের বৃন্দাবনী ময়দান থেকে পাঁচ শতাধিক ই-রিক্সা চালকের মিছিল বের হয় এবং তা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে উপস্থিত হয় ও বিক্ষোভ সভা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিআইটিইউ নেতা মিন্টু চৌধুরী, নিখিল দাস , অনুপম গুণ, বিশ্বপ্রিয় বিশ্বাস প্রমুখ।
TOTO DEPUTATION MALDAHA
বিধিনিষেধ, ফাইনে জেরবার টোটো চালকরা জেলা শাসকের কাছে
×
Comments :0