ব্যাঘ্র সংরক্ষণে জন্য বাঘের খাদ্য ভাণ্ডার সুনিশ্চিত করার তাগিদে বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বক্সার জঙ্গলে সোমবার ১০৪ টি চিতল হরিণ নিয়ে এল বন দফতর। পাশাপাশি, জঙ্গল সংলগ্ন জনবসতি এলাকায় বাঘের চলে আসার বিষয়টিকেও রোধ করা যাবে বলে মনে করছে বন দফতর। গত ১৭ তারিখ একি ভাবে ৮৬ টি চিতল হরিণ বস্কার জঙ্গলে ছাড়া হয়।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, গত বছরের প্রথম দিকে শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি থেকে শেষবার চিতল হরিণ আনা হয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে জঙ্গলে। গত চার বছরে ধাপে ধাপে এই নিয়ে ৫০০ টিরও বেশি চিতল হরিণ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়।
গত মার্চ বীরভূমের বল্লভপুর অভয়ারণ্যে হরিণ গুলি ধরার প্রক্রিয়া শুরু করে বনকর্মীরা। বল্লভপুর জঙ্গলের ভেতরে বোমা ম্যাথডের মাধ্যমে হরিণ গুলিকে বন্দী করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বনদপ্তর সূত্রে খবর জঙ্গলের গভীরে মাটি কেটে বহনকারী ট্রাকটিকে লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ট্রাকের পেছনদিকের দুপাশ দিয়ে বিশাল আকার জালের দেয়াল তৈরি করে জালগুলি সহ পুরো ট্রাকটিকে গাছের লতা পাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ট্রাকের ভেতরে হরিণদের পছন্দমত খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় কর্মীরা।
সেই খাবার খেতে হরিণ গুলি ট্রাকের ভেতরে পৌঁছোতেই চটজলদি ট্রাকের পেছনের মুখ বন্ধ করে দেয় বনকর্মীরা। এইভাবে নির্দিষ্ট সংখ্যার হরিণ ধরা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলে। এইভাবে বল্লভপুর অভয়ারণ্য থেকে ১০৪ টি হরিণ ধরতে সময় লাগে প্রায় ৬ দিন।
এরপর হরিণ গুলিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গভীর জঙ্গলে মুক্ত করে বন কর্মীরা। "বক্সার জঙ্গলে বাঘেদের খাবার জন্য সম্বর ও বার্কিং ডিয়ার প্রজাতির পর্যাপ্ত হরিণ রয়েছে। তবে হামেশাই বাঘেদের অন্যান্য হরিণের চেয়ে চিতল হরিণ বেশি সুস্বাদু বলে অনুমান। পাশাপাশি বনে তাদের বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে।
Comments :0