EXIT POLL CONGRESS

চ্যানেলের বুথ ফেরত সমীক্ষা চর্চায় থাকছে না কংগ্রেস

জাতীয়

ছবি সংগ্রহ থেকে।

কোনো বুথ ফেরত সমীক্ষা বিতর্কে অংশ নেবে না কংগ্রেস। শুক্রবার দলের এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের চেয়ারপার্সন পবন খেরা। 
শনিবার চলতি লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট। সকাল সাতটা থেকে সন্যারে ৬টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। তারপরই শুরু হবে বুথ ফেরত সমীক্ষা বা ‘এক্সিট পোল’। বিভিন্ন সংবাদবাধ্যম তাদের সহযোগী সমীক্ষক সংস্থার হিসেব বলে সম্ভাব্য ফলাফল জানাবে। সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের ডাকা হয় সমীক্ষা ঘিরে মতামত জানাতে।
এমন সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ কংগ্রেস। পবন খেরা ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ‘‘ফলাফল বের হবে ৪ জুন। ওই দিনই ভোট গোনা হবে। তার আগে কোনও অনুমানের ভিত্তিতে তর্কাতর্কিতে নেমে টিআরপি বাড়ানো নিষ্র্ য়োজন। সে কারণে কংগ্রেস কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে টেলিভিশ চ্যানেলের চর্চায় অংশ নেবে না।’’  
নির্বাচন সংক্রান্ত দু’ধরনের সমীক্ষা হয়। একটি মতামত সমীক্ষা। অপরটি ভোটের দিন ভোটদাতাদের মতামতের ভিত্তিতে সমীক্ষা। এবার সাত দফায় হচ্ছে ভোট। শনিবারই শেষ দফা। কিন্তু এমন সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন অংশ এবারের চর্চা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের বক্তব্য, টেলিভিশন চ্যানেল বা সংবাদমাধ্যমের বড় অংশকেই কবজা করে নিয়েছেন প্রধানমন্রীছে নরেন্র্ব মোদী। স্বাধীন মতামতের সুযোগ কম। সমীক্ষার নামে যা চলছে তা একেবারেই বিজেপি’র প্রচারের অংশ। 
এই বক্তব্য জোর পেয়েছে ভোটদানের হার কমতে থাকায়। চারশো আসন ছাড়িয়ে যাওয়ার স্লোগান তুলে আসরে নেমেছিলেন নরেন্র্ছ মোদী। সেক্ষেত্রে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে ভোটদানে উৎসাহ থাকার কথা। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে গতবার একতরফা জয় হাসিল করেছিল বিজেপি, এবার সে রকম রাজ্যগুলিতে গুরুতর হারে কমেছে ভোটদানের হার। নির্বাচন কমিশন আবার প্রথম দুই দফার চূড়ান্ত হার বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রশ্নও গভীর হয়েছে।
পবন খেরা বলেছেন, ‘‘৪ জুন ভোট গণনার পর সংবাদমাধ্যমে যে কোনও আলোচনায় অংশ নিতে আমরা রাজি। যে কোনও বিতর্কের উদ্দেশ্য হলো জনতার কাছে তথ্য হাজির করা। ভোট গণনার পর আমরা তা অবশ্যই করব।’’ 
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বৃহস্পতিবারও বলেছেন যে বিজেপি জোট এনডিএ নয়, সরকার গড়বে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে নির্বাচনে। 
বস্তুত উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্য, যেখানে বিজেপি’র শক্তি কেন্রেকি তাদের সরকারের ভিত, সেখানেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবের সভায় উপচে পড়া জমায়েত দেখা গিয়েছে। মুম্বাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’-র সমাবেশেও এমন চেহারা দেখা গিয়েছিল শিবাজী পার্কে। 
সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, ত্রিশঙ্কু বা অনিশ্চিত আসন সমীক্ষায় দেখালেও তাকে বিজেপি’র ঘরে ঠেলে দেওয়া হতে পারে সমীক্ষক এবং সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ না হলে। তার জেরে ৪ জুন গণনার দিন বিরোধী দলগুলির কর্মীদের মনোবলে প্রভাব পড়তে পারে। এমনিতেই এবার ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের দলগুলি ইভিএম গণনা নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করেছে। ফলে বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে টেলিভিশনের বিতর্কে নেমে এই সমীক্ষাকে মান্যতা দিতে নারাজ কংগ্রেস।

Comments :0

Login to leave a comment