মাকালু ও অন্নপূর্ণা জয়ের পথে রওনা দিলো পিয়ালি বসাক।বিনা অক্সিজেনের ধৌলা গিরি ও এভারেস্টের পর বিশ্বের পঞ্চম ও দশম পর্বতশৃঙ্গ জয়ের আশায় রওনা দিল চন্দননগরের পিয়ালী।এবারে বিনা অক্সিজেনে অন্নপূর্ণা(৮০৯১ মিটার/২৬৮০০ ফিট )পৃথিবীর দশম উচ্চতম শৃঙ্গ ও মাকালু(৮৪৮১ মিটার/২৭৮২৫ফিট) পৃথিবীর পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও লড়াইয়ে নেমেছে বঙ্গ তনয়া। বৃহস্পতিবার বিকালে চন্দননগর স্টেশন থেকে রক্সল মিথিলা এক্সপ্রেসে করে রওয়ানা দেয়। ১৯ মার্চ আরোহণ করতে চলেছে সে। যদিও মাত্র ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যাচ্ছে। মোট ৩১ লক্ষ টাকা তার প্রয়োজন। তার মাথার উপর বিপুল টাকা ঋণের বোঝা। তারপর ও সেই সমস্ত বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছে। এর আগে বহু মানুষ ও সংস্থা আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিল। এবারে তার আশা যদি কোন সংস্থা। তবে এবারও কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার পিয়ালীর এই প্রবতারোহনে এখনও কোন আর্থিক সাহায্য করেনি। এর মধ্যেই বেশ কিছু সংস্থার কাছে আবেদন করেছে সে। কিন্তু তার কাছে ক্রাউড ফান্ডিংই ভরসা তার কাছে।
পিয়ালির বলেন আমার আশা আবহাওয়া যদি সঙ্গ দেয় নিশ্চিত মাকালু ও অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করব। মোট ৩১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গ সরোজ গার করপোরেশন ২ লক্ষ ২ হাজার টাকা দিয়েছে। আরও এক লক্ষ টাকা ক্রাউড ফান্ডিং উঠেছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। ঝুঁকি নিয়েও দেশের মুখ উজ্জ্বল করছি। প্রতিপদে মৃত্যুর সত্বেও নাওয়া খাওয়া ভুলে টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। টাকা না পেলে মাঝ পথে থেকে ফিরিয়ে দেবে। তবে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন আশ্বাস দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা দেবার। এভাবে যদি কর্পোরেট সংস্থা এগিয়ে আসে তাহলে দুটি শৃঙ্গ জয় করতে পারব। ১৯ মার্চ থেকে যাত্রা শুরু হবে। নেপালের সংস্থা আমাকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে। যাতে বাকি টাকা জোগাড় হতে পারে। তুষার ঝড়ের আগেই সামিট শেষ করতে হবে আমাকে।
পিয়ালির মা স্বপ্না বসাক বলেন যাওয়ার সময় চিন্তা হলেও আশা করি সামিট শেষ করুক। এটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা যারা করে তারাই জানে। বেস ক্যাম্প পর্যন্ত যোগাযোগ থাকলেও অভিযানে গেলে আর যোগাযোগ থাকে না। আর্থিক ভাবে কয়েকজন এগিয়ে এসেছে। এভারেস্ট এর সময় কোন কর্পোরেট বা রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের থেকে পায়নি। এবারে যদি সকলে এগিয়ে আসে তাহলে পিয়ালির সামিট সফল হবে।
Comments :0