13 FEBRUARY

১৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে সর্বাত্মক আন্দোলনে কৃষক-শ্রমিক-খেতমজুররা

রাজ্য

বৃহস্পতিবার শ্রমিক ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর নেতৃবৃন্দ।

সব জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযান করবেন রাজ্যের শ্রমিক কৃষকরা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নীতির প্রতিবাদে আইন অমান্য ও জেল ভরো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠনগুলি। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের জেলায় জেলায় সেই আন্দোলন গ্রামীণ বন্ধের চেহারা নেবে।
১৩ তারিখের এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে সিপিআই(এম)। বৃহস্পতিবার পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, মজুরি থেকে সারের কালোবাজারির মতো জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে এই লড়াই শ্রমিক এবং কৃষকদের। সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটি এই লড়াইকে সমর্থন জানাচ্ছে। 
বৃহস্পতিবারই শ্রমিকভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন শ্রমিক, কৃষক এবং খেতমজুর আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা জানান যে ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন, শিল্প ভিত্তিক ফেডারেশন ও কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্তি কিষান মোর্চা এবং খেতমজুর সংগঠনগুলির ডাকে।  কিন্তু, এ রাজ্যে ওইদিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকার কারণে ১৩ ফেব্রুয়ারি হবে কর্মসূচি। 
সাংবাদিক বৈঠকে সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সম্পাদক অনাদি সাহু বলেছেন, ’’কেন্দ্রের মোদী সরকার ও আমাদের রাজ্যের বর্তমান শাসকদল, জনজীবনের মূল সমস্যা সঙ্কটগুলোকে আড়াল করছে। মন্দির-মসজিদ-গির্জা-জাতপাতের উন্মাদনা তৈরি করছে। দেশের শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের খেটে খাওয়া মানুষের  জীবন যন্ত্রণা বিষয়গুলিকে আমার  তুলে ধরতে চাই। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জীবনজীবিকার প্রশ্নে লড়াইকে তীব্র করা হচ্ছে গোটা দেশজুড়েই।’’ 
তিনি বলেন, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধেত আদর্শকে বাঁচানোর জন্যও ১৩ ফেব্রুয়ারি সরব হবে কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর সংগঠনগুলি। সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জি বলেন, দেশ ও রাজ্যের সরকারের নীতি, সিদ্ধান্ত মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষার নীতি , সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দাবি নিয়েই লড়াইকে তীব্র করা হবে। 
প্রাদেশিক কৃষকসভার সম্পাদক অমল হালদার বলেন, মোদী সরকার দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে পিপিপি মডেলে এনে কর্পোরেট, পুঁজিপতিদের ফায়দা করে দেশের কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। খাদ্যে ভরতুকি তুলে দেওয়া হচ্ছে, কৃষিখাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 
সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের নেতা তুষার ঘোষ বলেন, দেশের কৃষকরা সাহসী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে মোদী সরকারের আনা তিন কৃষি আইনকে স্থগিত করতে বাধ্য করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সব অংশের বঞ্চিত শোষিত মানুষের ঐক্য চাই। 
সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন আইএনটিইউসি নেতা মানব ব্যানার্জি, ছিলেন এআইটিইউসি নেতা বিপ্লব ভট্ট, সিআইটিইউ নেতা জীবন সাহা, গার্গী চ্যাটার্জি সহ নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment