বইকথা
ছোট্ট সুন্দর জলপরির কথা
প্রদোষকুমার বাগচী
তোমাদের জন্য এবার এমন একটা বইয়ের কথা বলব, যেটা বড়দেরও খুব ভালোলাগবে। বইটিতে একটি ছোট্ট সুন্দর জলপরির কথা আছে। ওই জলপরি আসলে সাগর রাজার কন্যা। সমুদ্রের অনেক গভীরে ওদের বিরাট রাজপ্রাসাদ।
প্রাসাদের সামনে মস্তো বড় বাগান। নানা রকমের ফুল। ওরা ছয় বোন। সবাই জলপরি। আমরা সবচেয়ে ছোট জলপরির কথাই বলব। ও সবচাইতে রূপসি। চোখ দুটি সমুদ্রের মতো ঘন নীল। বড়রা সকলে ছোট্ট জলপরিকে সুখি রাখতে
চাইত। ও গল্প শুনতে ভালোবাসতো। ঠাকুমার কাছে শুনেছিল সমুদ্রের ওপরে নাকি বিরাট পৃথিবী আছে। জলপরিটি সেখানে যেতে চাইতো। তারপর যখন ১৫ বছর য়য়স হলো, মাছের মতো ওর ল্যাজে অনেক শক্তি হলো তখন ও সবার
অনুমতি নিয়ে জলকেটে সমুদ্রের উপরে এসে দেখল সূয্যিমামার অস্ত যেতে আর বেশি বাকি নেই। সন্ধ্যা নামছে। আকাশে মিটমিট করছে সন্ধ্যাতারা। ওদিকে এসেছে একটি প্রকান্ড জাহাজ। সেই জাহাজে আছে এক রাজকুমার।
সেখানে নাচ গান হচ্ছে। মানুষ যে এত মজা করতে পারে ও এই প্রথম জানলো। এদিকে রাত হচ্ছে। ও প্রাসাদে ফিরে যেতে চাইল। কিন্তু ওই রূপবান রাজকুমারকে ছেড়ে যেতে তার মন চাইছিল না। এদিকে জাহাজ তো চলতে শুরু
করেছে। চারদিক অন্ধকার। হঠাৎ সমুদ্রে এমন ঢেউ উঠল যে জাহাজ গেল ডুবে। বিরাট পাক খেয়ে তলিয়ে গেল জাহাজটা।কী হবে এবার? জলপরি কি রাজকুমারকে বাঁচাতে পারবে? যদি বাঁচে তাহলে রাজকুমার কি জলপরিকে খুব
ভালোবাসবে? নাকি রাজকুমারের কাছ থেকে জলপরি একদিন আরো অনেক অনেক দূরে চলে যাবে! জানতে চাওকি যে এর পর কি হলো? তাহলে বইটা হাতে নিয়ে নাও। পাতায় পাতায় রয়েছে সুন্দর সুন্দর ছবি।
বইটির মূল লেখক কিন্তু কোনও বাঙালি নয়, তার নাম হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন। তিনি ডেনমার্কের লোক ছিলেন। তাঁর এই অসমান্য গল্পটি অনুবাদ করেছেন সুনির্মল চক্রবর্তী। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন সুব্রত মাজি। বইটির
দাম ৮০ টাকা। প্রকাশিত হয়েছে পারুল প্রকাশনী থেকে।
Comments :0