Purba Medinipur

২ শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা

রাজ্য জেলা

অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভূপতিনগর থানায় ডেপুটেশন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের বাসুদেববেড়িয়া অঞ্চলে ৮ ও ১০ বছরের দুই ছাত্রীকে ওই গ্রামেরই তৃণমূলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শনিবার তোলপাড় হয় এলাকা। তপন পাহাড়ী নামে ওই তৃণমূল নেতার ওপর গ্রামের মানুষ চড়াও হন। ভূপতিনগর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তপন পাহাড়ীকে রবিবার কাঁথি আদালতে তোলা হয় এবং তাকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ওই দুই শিশুকন্যার গৃহশিক্ষক ছিল তপন পাহাড়ী। শনিবার বিকেল পাঁচটার সময় যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ এনেছে পরিবারের লোকজন। ওইদিন দুই ছাত্রী পরে সন্ধ্যের দিকে বাড়িতে পড়তে বসে তাদের অসহ্য যন্ত্রণার কথা বলে। যন্ত্রণা বাড়তে থাকলে জিজ্ঞাসা করায় তারা মায়ের কাছে সমস্ত ঘটনাটি খুলে বলে। তখনই বাড়ির লোকজন পাড়া-প্রতিবেশীকে ঘটনাটি বলেন। গ্রামবাসীরা তখনই প্রতিবেশী ৬২বছর বয়সী তপন পাহাড়ীকে ধরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তখন সে অপরাধের কথা স্বীকার করে। তপন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এলাকার মানুষ তপন পাহাড়ীর উপর চড়াও হয়। থানায় খবর দেওয়া হলে ভূপতিনগর থানার পুলিশ এসে তপনকে আটক করে। শিশুকন্যা দুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
রবিবার সকালে সিপিআই(এম)’র মুগবেড়িয়া এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে দুই শিশুছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভূপতিনগর থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ডেপুটেশনে ছিলেন পার্টির জেলা কমিটির সদস্য  বিষ্ণুপদ মান্না, এরিয়া কমিটির সম্পাদক  চিত্ত দাস, এরিয়া কমিটির সদস্য অমলেন্দু দাশ, স্বরুপ খাটুয়া, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী ইন্দুলেখা আচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন বিকালে সিপিআই (এম)’র পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা এবং দোষী তপন পাহাড়ীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওই গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। প্রতিবাদ মিছিলে গ্রামের সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলশেষে পথসভায় প্রশাসনের উদাসীনতা এবং পক্ষপাতিত্বকে দায়ী করে বক্তব্য রাখেন বিষ্ণুপদ মান্না, চিত্ত দাস এবং স্বরূপ খাটুয়া।

Comments :0

Login to leave a comment