চুম্বক আবিস্কার
প্রদীপ কুমার মিত্র
প্রাচীনকালে গ্রীস দেশের মানুষ প্রথম দেখেছিলেন এক ধরণের পাথর আছে যা লোহাকে আর্কষণ করে। এই পাথর ছিল অম্লযান যুক্ত লোহা যা পাওয়া যেত গ্রীস, উত্তর আমেরিকা ও সুইডেন। গ্রীসের ম্যাগনেশিয়া অঞ্চলে এই পাথর প্রথম দেখা গিয়েছিল বলে গ্রীকরা এই পাথরের নাম দেন মাগনেটাইট। আসলে এই পাথরটি ছিল লোডস্টোন মাগনেটাইট থেকেই ম্যাগনেট কথাটি এসেছে।
বিশ্ব বিখাত বৈজানিক আর্কিমিডিস একদিন একটি দন্তাকৃতি মাগনেটাইট পাথরকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেখলেন পাথরটি সব সময় উত্তর-দক্ষিণ মুখো হয়ে থাকছে। তখন তিনি ওই পাথরের সাহায্যে আবিস্কার করলেন। দিগদর্শন যন্ত্র বা কম্পাস।
এরপর বিজ্ঞানিক প্রেরি গ্রীনাস আবিষ্কার করেন চুম্বকের সাথে কোনো লোহার পাত ঘষলে লোহার পাতটিও চুম্বকে পরিণত হয়ে ছোট ছোট লোহার টুকরোকে আকর্ষণ করে। তিনি বলেন পাতটির মধ্যে নতুন যে শক্তি জন্মাল তা হলো চৌম্বক শক্তি।
বৈজ্ঞানিক কেলভিন উত্তর-দক্ষিণ মুখো হয়ে থাকা চুম্বকের উত্তর দিকের নাম দেন উত্তর পোল এবং দক্ষিণ দিকের নাম দেন দক্ষিণ পোল, বৈজ্ঞানিকরা ম্যাগনেট নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেন ম্যাগনেটের কাছে লোহার চূর ছড়িয়ে দিলে যেগুলি সারিবদ্ধভাবে এক একটি রেখায় দাঁড়িয়ে পড়ে। এই রেখাগুলোর বৈজ্ঞানিকরা নাম দেন চুম্বকরেখা।
Comments :0