FASAL BIMA

ফসল বিমার ২ হাজার ৭৬১ কোটির বেশি টাকা পাননি কৃষকরা

জাতীয়

FASAL BIMA ছবি সংগৃহীত।

ফসল নষ্ট হলেও বিমার টাকা পাচ্ছেন না কৃষকরা। দেশে কৃষকদের পাওনা টাকা আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংসদে প্রশ্নোত্তরে এই বাস্তবতা স্বীকার করেছে কেন্দ্র। 

২০২১-২২’র হিসেবে কৃষকদের ফসল বিমা বাবদ প্রাপ্য ২ হাজার ৭৬১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে। 

রাজস্থানে সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে চুরুর মতো একাধিক জেলায় কৃষকরা রাস্তায় নেমে ফসলি বিমার দাবি জানিয়েছেন। গত মাসে টানা চলেছে প্রতিবাদ। 

নিয়ম হলো চাষের মরশুম পার হওয়ার দু’মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার টাকা দেওয়ার কথা কৃষকদের। রোপণ এবং ফসল কাটার আগে মাঠে ফসল নষ্ট হলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। বিজ্ঞপ্তি জারির এক মাসের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা কৃষকদের। নিয়ম থাকলেও তা হয়নি। 

দেশজুড়ে সর্বত্র কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, ফসলে যে মাত্রায় ক্ষতি হয় তার সামান্য অংশ বিমার আওতায় আসে। তার ভিত্তিতে ফসল নষ্টের ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রাপ্য ঠিক হয়। সেই প্রাপ্যও সময় মতো মেলে না। মঙ্গলবার সংসদে যে তথ্য কেন্দ্র পেশ করেছে তা  ২০২১-২২ অর্থবর্ষের। এরপর ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষ পার হয়ে গিয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের চার মাস কেটে গিয়েছে। ফলে নতুন মরশুমে চাষের টাকা জোটাতে ঋণে ফাঁদে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। 

লোকসভায় কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের যুক্তি, কিছু কিছু রাজ্যে ফসল সংক্রান্ত তথ্য পাঠানোর কাজ সময় মতো সেরে ফেলছে না। প্রিমিয়ামের অর্থ বাবদ যে টাকা বিমা সংস্থার ঘরে জমা করার কথা, তা-ও অনেকসময় দেরিতে পাঠানো হচ্ছে। প্রিমিয়াম বা কিস্তির টাকায় রাজ্য ভরতুকি দেয়। অনেক ক্ষেত্রে এই ভরতুকির অংশ জমা পড়ছে না। 

কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজস্থানে বকেয়া ১৩৮৭.৩৪ কোটি, মহারাষ্ট্রে বকেয়া ৩৩৬.২২ কোটি, গুজরাটে ২৫৮.৮৭ কোটি।  

কেন্দ্রের ভাগের টাকা যে আটকে ছিল দীর্ঘদিন তা বেরিয়ে এসেছে তোমরের বক্তব্যে। তোমর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার কিস্তি হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাগের টাকা ছাড়া হয়েছে। ২০১৮’র খরিফ মরশুম থেকে ২০২০-২১’র রবি মরশুমের টাকা ছাড়া হয়েছে। রাজ্যের ভাগের টাকা পৌঁছানোর অপেক্ষা না করে কেন্দ্র নিজের ভাগ মিটিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment