MODI CONGRESS

মোদীর বিপক্ষে ৬০%, বলল কংগ্রেস, সরব মূর্তি সরানোতেও

জাতীয়

কংগ্রেসের পোস্টার।

নরেন্দ্র মোদীকে চান না দেশের মানুষ। রায়ে তাঁর পরাজয়ই হয়েছে। দেশের ৬০ শতাংশ মানুষই নরেন্দ্র মোদীকে চান না। তাঁকে সামনে রেখেই ভোট লড়েছিল বিজেপি। জনাদেশেই স্পষ্ট এই প্রত্যাখ্যান।
শপথ সমারোহের মুখে ফের এই প্রচারে নামল কংগ্রেস। একটি ভিডিও ক্লিপ বানিয়ে একাধিক তথ্য হাজির করেছে কংগ্রেস। বলা হয়েছে, নিজের কেন্দ্র বারাণসীতেই মোদীর জয়ের ব্যবধান ৪ লক্ষ থেকে কমে দেড় লক্ষ হয়েছে। বিজেপি ৬৩ আসন খুইয়েছে। বিজেপি’র ভোটের হারও কমেছে। 
সরকারের প্রতি অনস্থার ছবি প্রমাণ করতে কংগ্রেস মন্ত্রীরদের হারের তথ্য সামনে এনেছে। হেরেছেন স্মৃতি ইরানি, অর্জুন মুন্ডা, আরকে সিং, অজয় মিশ্র টেনি, নিরঞ্জন জ্যোতি, সঞ্জীব বালিয়াঁ, মহেন্দ্র নাথ পান্ডে, রাজীব চন্দ্রশেখর। কংগ্রেস বলছে, এই ছবি থেকেই স্পষ্ট জনপ্রিয়তা কমছে নরেন্দ্র মোদীর। 
কংগ্রেস এদিন সরব হয়েছে সংসদ ভবনে মূর্তি সরানো নিয়েও। বলেছে, বিরোধীদের প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য নতুন সংসদ ভবনের সামনে থেকে সরানো হয়েছে গান্ধীজী, বাবাসাহেব আম্বেদকর, ছত্রপতি শিবাজীর মূর্তি। শুক্রবার এই অভিযোগেই সরব হয়েছে কংগ্রেস। 
নতুন সরকারের শপথ নেওয়ার মুখে নজরে এসেছে সংসদে রদবদল। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, বাবাসাহেব আম্বেদকর, ছত্রপতি শিবাজীর মূর্তি সরিয়ে দেওয়া হয়। কোথায় কখন এই সিদ্ধান্ত হয়েছে স্পষ্ট নয়। প্রশাসনের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত।
প্রতিবাদ জানাতে হলে বরাবর বিরোধীরা পুরনো সংসদ ভবনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশেই বসতেন। নতুন সংসদ ভবনেও ছিল মূর্তি। সরিয়ে তা রাখা হয় তুলনায় কম গুরুত্বের জায়গায়। 
কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, ‘‘বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। একেবারে অসত্য দাবি করা হচ্ছে। সংসদভবনের ঐতিহ্য এবং মূর্রতি সংক্রান্ত দু’টি আলাদা কমিটি রয়েছে। ২০১৮’র ডিসেম্বরের পর মূর্তি সংক্রান্ত কমিটির কোনও বৈঠকই হয়নি। ছয় বছর ধরে আলোচনা হয় না। কোনও রাজনৈতি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি।’’
খেরার হুঁশিয়ারি, ‘‘সরকার যদি মনে করে মূর্তি হটিয়ে সংসদে বিরোধীদের অবস্থানে বসা বন্ধ করবে ভুল ভাবছে। আমরা প্রতিবাদে বসব।’’
শুক্রবার সকালে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন মোদী। তার পালটা পরপর প্রচারে নামল কংগ্রেস।

Comments :0

Login to leave a comment