চলতি হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক এটিকে মোহনবাগানের। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে নিখুঁত স্পট-কিক থেকে মোহন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হুগো বুমোস গোল করে দলের ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছেন।
খেলার প্রথমার্ধে বেশিক্ষণ নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করলেও উভয় দলই কোনও গোল করতে পারেনি। তবে জামশেদপুর দলের তরুণ গোলরক্ষক বিশাল যাদব বেশ কয়েকবার পরীক্ষিত হয়েছেন। জয়ী দল এটিকে মোহনবাগানের লেফট ফুল ব্যাক শুভাশিস বোস ম্যাচের নিরিখে অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন। এছাড়া ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দীপক টাংরির ভয়ডরহীন ফুটবল বিপক্ষ দলকে মাঝমাঠ থেকে সংঘবদ্ধ আক্রমণ রচনা করতে দেয়নি সেভাবে।
খেলার শুরু থেকেই ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট তুলতে চেয়েছিল জুয়ান ফেরান্ডোর দল।
ফলস্বরূপ দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের ডেরায় আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে থাকে আশিক কুরুনিয়ারা। কিন্তু মোহনবাগান দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লিস্টন কোলাসো প্রচুর মিস পাস করেন। ম্যাচের ৭৪ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোস ও দিমিত্রি পেত্রাটোসের যুগলবন্দিতে মোহনবাগানের পক্ষে গোল হতে হতেও হয়নি।
এরপর ৭৮ মিনিটের মাথায় কোচ ফেরান্ডো দু-দুটো পরিবর্তন করেন। ম্যাচে কিছুটা নিষ্প্রভ লিস্টনের জায়গায় নিয়ে আসেন তরুন তুর্কি কিয়ান নাসিরিকে। ও আশিস রাইয়ের জায়গায় আসেন লালরিনলিয়ানা হামতে। তাতে কিছুটা হলেও বিপক্ষ ডি-বক্সের কাছাকাছিতে পৌঁছে যাওয়ার গতি বাড়ে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে ৮৯ মিনিটের মাথায় জামশেদপুর এফসির সিনিয়ার সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার পিটার হার্টলি নিজেদের বক্সের মধ্যে বিপক্ষ দলের কিয়ান নাসারিকে বিপজ্জনকভাবে হাত দিয়ে ঠেলে ফেলে দেন। তাতে ম্যাচ রেফারি ও সহকারী রেফারি সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান।
সেটা পুরোপুরিভাবে ডান পায়ের শটে সদ্ব্যবহার করেন পরিণত খেলোয়াড় বৌমাস। এরপর খেলার শেষ চার-পাঁচ মিনিট জামশেদপুর এফসি চেষ্টার কোনও খামতি রাখেনি গোল পরিশোধ করার। কিন্তু মোহন গোলরক্ষক বিশাল কেইথ গত দুই ম্যাচের মতোই এই ম্যাচটিতেও বিশ্বস্ত হাতের জানান দেয়। গোলকিপার বিশাল কেইথ অপতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন। পরপর তিন ম্যাচে কোনও গোল খাননি তিনি।
Comments :0