নতুনপাতা
বইকথা
ছড়ায় গল্পে দেদার মজা
প্রদোষকুমার বাগচী
যে বইটির কথা আজ তোমাদের বলবো সেটিতে একই সঙ্গে তোমরা পাবে কিছু ছড়া ও
মজার কিছু গল্প। ছড়া পড়তে কার না ভালো লাগে। ছোটদের জন্য ছড়া লেখা হলেও
বড়দেরও পড়তে ভালো লাগে। কারণ বড়দের মধ্যেও ছোটর ভাবটিকে ওই ছড়াগুলি বার
করে আনে। এই বইটি যখন তোমরা পড়বে তোমাদের তো ভালো লাগবেই, বড়দেরও
লাগবে। অতনু চট্টোপাধ্যায় যে ছড়া গুলি লিখেছেন তা যে কতো সত্যি পড়লেই তোমরা
বুঝতে পারবে। আমি একটু ধরিয়ে দিচ্ছি—
তিন বছরে যাচ্ছি স্কুলে
কাঁধে বইয়ের বোঝা
শৈশবটা হারিয়ে গেছে
বৃথাই প্রশ্ন খোঁজা
তাহলে বুঝতেই পারছো যে বইয়ের আর পড়ার চাপে তোমরা এত ব্যস্ত। তাহলে কখন
শুনবে ভূতের গল্প। শাকচুন্নীদের গল্প। সেই শাকচুন্নীরা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। তাই
লেখক লিখেছেন—
শাকচুন্নী কোথায় গেল
কোথায় মামদো ভূত
কোথায় থাকে ভূতের রাজা
আশ্চর্য আর অদ্ভূত।
এরকম পরপর চল্লিশের কাছাকাছি ছড়া আর বেশ কয়েকটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলির নাম
বলছি। বীরসন্তান হেমচন্দ্র, নেতাজীর অন্তর্ধানে গোমো শহর, নাড়ু মাস্টারের
পাঠশালা, রহস্যসন্ধানী ভন্দুদার গল্প, ডগ শো, একটি ভয়াল সন্ধ্যা ইত্যাদি। এছাড়াও
রয়েছে কয়েকটি হাসির গল্প আলাদা করে, যেমন— খোলায়ভরা মিষ্টি, বলদ রহস্য,
টুনটুনি রাজার গল্প ইত্যাদি।
আমি একটু আগের কথায় ফিরে যাচ্ছি। তোমরা সকলেই নেতাজীর কথা কমবেশি জানো।
এখানে নেতাজীর যে গল্পটা লিখেছেন অতনু চট্টোপাধ্যায় তা কিন্তু কেবল গল্প নয়,
সত্য ঘটনা। গোমো স্টেশনে নেতাজী একবার এসেছিলেন সাধুর বেশে। কেন এলেন,
কীভাবে এলেন তারপর কীভাবে অন্তর্ধান করলেন মৌলভী জিয়াউদ্দিন হয়ে সেকথা
তোমরা এখানে পাবে গল্পের ঢঙ্গে। ইতিহাস ঘাঁটলে তোমরা দেখবে যে সত্যি ১৯৪১
সালের ১৮ জানুয়ারির রাতে তিনি এসেছিলেন গোমো স্টেশনে সাধুর বেশে। ইতিহাসের এই
একটুকরো উপহার তোমরা পেয়ে যাবে নেতাজীর অন্তর্ধানে গোমো শহর গল্পটি পড়লে।
খোলায়ভরা মিষ্টি গল্পটি ছোট্ট। তোমাদের সকলেরই মজা পাবে। ওটাতে মিষ্টি ছিল না,
ছিল পায়খানা। হাসির। তোমরা পড়লেই হাসবে।
বইটির নাম —
ছড়ায় গল্পে ছেলেবেলা
অতনু চট্টোপাধ্যায়। আশাদীপ। ১০/২বি রমানাথ মজুমদার স্ট্রিট, কলকাতা—৭০০
০০৯। ১৫০ টাকা।
Comments :0