Awareness Camp

সচেতনতা বাড়াতে দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবির বাদুড়িয়ায়

জেলা

Awareness Camp

বন্ধ্যাজমি। তাকে উর্বর করতে, ব্লকস্তরে সংগঠনের বিস্তার ঘটাতে হবে। তার জন্য দরকার সচেতন কর্মীবাহিনী। এই প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে সাক্ষরতা আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব। শনিবার বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাটে দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবির উদ্বোধনে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে শিবিরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কথাগুলি বলেন, বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতির রাজ্য সম্পাদক অনুপ সরকার।
শুরুতে পতাকা উত্তোলন করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান মায়া রায় সহ রাজ্য, জেলা ও বিভিন্ন ব্লক নেতৃবৃন্দ। গণনাট্য শিল্পী উজ্জ্বল ব্যানার্জির পরিচালনায় সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনের পর অভিনন্দন জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, কৃষক নেতা সুবিদ আলি গাজি,জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অপর্না গুপ্ত, প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ অনাথবন্ধু মণ্ডল, এবিটিএ প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক উৎপল রায়, সুতপা ঘোষাল, সমাপ্তি সান্যাল। প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জেলা সম্পাদক ডাঃ শ্যামলেন্দু বিশ্বাস। সংগঠনের উত্তর ২৪পরগনা জেলা কমিটির উদ্যোগে শনি ও রবি এই দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে কেন এই শিবির তার কার্যকারিতা তুলে ধরে অনুপ সরকার নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষর করে তুলতে রাষ্ট্র তথা এই রাজ্যের ভুমিকার সমালোচনা করেন। অভিযোগের আঙ্গুল তুলে তিনি বলেন নিরক্ষরতার কারণে আধুনিক যুগে বাড়ছে বৈষম্য। জন্ম নিচ্ছে বিভেদের। তৈরি হচ্ছে শ্রেণী বৈষম্যের ভিত্তি।

 বাড়ছে বঞ্চনা। নিরন্নতা, অপুষ্টি, লিঙ্গ বৈষম্য, ধর্মান্ধতা, জাতপাতের জন্ম দিচ্ছে। বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। সুযোগ থাকতে কেন স্কুল ছুট বাড়ছে? কেন বাড়ির বাচ্চা শ্রমিকে পরিণত হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অর্থিক অভাব, নিরক্ষরতা কারণ। স্কুলে শিক্ষক কম। কমছে পড়াশোনার গুনগত মান। স্কুলগুলি খিচুড়ি স্কুলে পরিণত হচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন সাহায্য পেতে শুধুমাত্র নাম নথিভুক্ত করে রাখা হচ্ছে। শিক্ষা অর্জন সেখানে ব্রাত্য থেকে যাচ্ছে। গ্রামে কাজ নেই। ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে একটি বড় অংশের যুবক যুবতি। তাদের ঘরের সন্তানরা আগামীদিনে নিরক্ষর হয়েই থেকে যাচ্ছে। নিরক্ষরদের সাক্ষর করতে রাষ্ট্রের কোন ভূমিকা নেই। এই রাজ্যেও বাড়ছে নিরক্ষরের সংখ্যা। বাজেটে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয় রাজ্যে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থায়। তারপরেও পঞ্চায়েতগুলির কোন উদ্যোগ নেই। ৩০লক্ষ বয়স্ক নিরক্ষর মানুষ এই মূহুর্তে বাস করেন রাজ্যে। দেশে কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কর্পোরেট দুনিয়ার লাভের স্বার্থ দেখছে রাষ্ট্র। আমাদের স্বার্থ ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুযায়ী সেই কাজ আমাদের করতে হবে সাক্ষরতা, সচেতনতা সক্ষমতা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরী করাই বঙ্গীয় সাক্ষরতা সমিতির লক্ষ্য। যা ৩৬বছর ধরে সংগঠন এই কাজ করে আসছে।

Comments :0

Login to leave a comment