ডোপিংয়ের অপরাধে ফ্রান্সের পুরুষ ফুটবল দলের মিডফিল্ডার পল পোগবাকে ৪ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইতালির জুভেন্টাসের হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলছিলেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পোগবাকে অন্তর্বর্তীকালের জন্য সাসপেন্ড করেছিল ইতালির জাতীয় ডোপিং বিরোধী সংস্থা নাডো ইতালিয়া। শুক্রবার জুভেন্টাসের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সংস্থার তরফে ৪ বছরের জন্য পোগবাকে ফুটবল থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট উদিনেজের সঙ্গে ম্যাচ ছিল জুভেন্টাসের। সেই ম্যাচ জুভেন্টাস জেতে ৩-০ গোলে। ম্যাচের পরে খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক ডোপিং টেস্ট হয়। সেখানে ধরা পড়ে পোগবা নিষিদ্ধ অ্যাড্রেনালিন ওষুধ ব্যবহার করছেন মাঠে নিজের পারফর্মেন্স বাড়ানোর জন্য।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে পোগবা ইন্সটাগ্র্যাম পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আমি ট্রাইবুনালে নাজিওনালে অ্যান্টিডোপিং’র রায় জেনেছি। আমি মনে করি এই রায় সঠিক নয়। আমি দুঃখিত এবং মর্মাহত। খেলোয়াড় জীবনে কষ্ট করে যা যা আমি অর্জন করেছিলাম, সেই সমস্ত কিছু আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’’
একইসঙ্গে ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জানিয়েছেন,‘‘আমি জ্ঞানত বা ইচ্ছাকৃত ভাবে কখনও ডোপিং করিনি। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমি কখনও বেআইনি কোনও দ্রব্য ব্যবহার করিনি নিজের পারফর্মেন্স বাড়িয়ে তুলতে। আমি আমার সহ খেলোয়াড়দের কিংবা কোনও দলের সমর্থকদের কখনও ঠকাইনি। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদ নিষ্পত্তি আদালতে আবেদন জানাবো।’’
চলতি বছরের মার্চ মাসে ৩১ বছরে পা দেবেন পোগবা। নিষ্পত্তি আদালতেও এই রায় বহাল থাকলে ৩৫ বছর বয়স অবধি পেশাদার ফুটবল খেলতে পারবেন না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই প্রাক্তন খেলোয়াড়। অর্থাৎ পোগবার খেলোয়াড় জীবন এই মুহূর্তে সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না পোগবা। তারফলে ২০২২ সালে তাঁকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে থেকে ট্র্যান্সফার ফি না দিয়েই সই করাতে পেরেছিল জুভেন্টাস। কিন্তু নিজের পুরনো ক্লাবে ফিরেও হাঁটু এবং হ্যামস্ট্রিং চোটের জন্য ফর্ম হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
Comments :0