Book TOPIC — PRODASHKUMAR BAGCHI / Natunpata - 22 NOVEMBER

বইকথা — একের মধ্যে তিন / নতুনপাতা

ছোটদের বিভাগ

Book TOPIC  PRODASHKUMAR BAGCHI  Natunpata - 22 NOVEMBER

নতুনপাতা

বইকথা
গল্পপাগল পড়ুয়াদের জন্য নতুন বই
প্রদোষকুমার বাগচী
 

তোমাদের মনের মতো বই। অশাপূর্ণা দেবীর কথা সকলেই কম বেশি তোমরা জান। বড়দের জন্য লিখলেও তিনি
ছোটদের জন্য লিখতে কখনও ভোলেননি। ‘কিশোর ভারতী’ পত্রিকায় তিনি লিখতেন।
সেখানে প্রকাশিত তাঁর তিনটি কিশোর উপন্যাসকে একত্রে ‘একের মধ্যে তিন’ নাম দিয়ে
প্রকাশ করা হয়। একটি গল্পে আছে যে একটি ছেলে ভাঙা পা নিয়ে ঘরে বন্দি। হঠাৎ
আধশোয়া অবস্থায় তার নজরে পড়ে পাশের বাড়িতে কাদের সন্দেহজনক আনাগোনা...
তারপর কি হলো?
আর একটি গল্পে আছে লেখক প্রলয় চাকলাদার ছুটি কাটাতে বাইরে গেছেন। গিয়ে
দেখেন অবিশ্বাস্য কাণ্ড‌্য! ওখানে কিনা বসে আছেন স্বয়ং প্রলয় চাকলাদারই। কি
করে সম্ভব! কে তবে আসল চাকলাদার? আর শেষ গল্পের নাম দিব্যেন্দুসুন্দরের
দিব্যজ্ঞানলাভ। সেই দিব্যজ্ঞানলাভ কি করে হলো সে কথাই একটু বলছি শোনো।
বসের কাছে অপমান সয়ে শালার বিয়েতে যাবেন বলে ছুটির দরখাস্ত করিয়েছেন
দিব্যেন্দুবাবু। ওদিকে বাড়িতে গিন্নীর দাপট। ছেলেমেয়েদের বেপরোয়া চালচলন— সব
মিলিয়ে পরিস্থিতি অনুকূল নয়। এদিকে বাজার আগুন। আবার বাড়ির লোকে তাঁকে
হাড়কিপটে বলে। এদিকে অফিস থেকে জরুরি ডাক আসায় তার দেরি হয়ে গেল। শ্বশুর
বাড়িতে গিয়ে দেখলেন তাঁকে ফেলে সবাই চলে গেছে। শেষে হাফ টিকিট কেটে ভিড় ঠাসা
ট্রেনে রওনা দেন বিয়েবাড়ির উদ্দেশে। এতেও বিপত্তি। কারণ টিকিট চেকার তাকে ধরে
ফেলেছেন। শেষে তাঁকে পাগল বলে ছেড়ে দেওয়া হলো। এদিকে স্টেশনে নামামাত্র
দীনুবাবু অপেক্ষা করছেন একথা বলে তাঁকে পাঁজাকোলা করে একেবারে একটা রিকশয়
বসিয়ে ভুল করে নিয়ে এসেছিল একটি ক্লাব ঘরে। তখন অনেক রাত। তাঁকে বলা হলো
তবলা বাজাতে। সে এক গোলমেলে কাণ্ড।


তিনি নেমতন্ন বাড়িতে এসেছেন শুনে দিনুবাবুর লোকরাই তাকে কাছের একটা
নেমতন্ন বাড়িতে পৌঁছে দিল। কিন্তু তিনি ঐ বাড়ির নিমন্ত্রিত না হয়ে খেতে বসায়
তাকে ধরে উত্তম মধ্যম দেওয়া হলো— সে এক করুণ কাহিনী। পোষাক-আষাক ছিঁড়ে
গেছে। তাকে পাগলের মতো লাগছে। সেখান থেকে পালিয়ে সে একটা বিয়েবাড়ির সামনে

এল। সেখানে তার শালাবাবু সহ সবাই চিনতে পারলো। তার গিন্নি সামনে আসতেই সে
খ্যাঁক করে তার নাকের উপর একটা কামড় বসিয়ে দিল। তখন সবাই তাকে পাগোল হয়ে
গেছেন ভেবে ভয় পেতে শুরু করল। এর পর তো কেবল মজা আর মজা। সবাই ধরাধরি করে
ওকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে খুব খাতির যত্ন করতে লাগলো। তারপর কি হলো বইটি থেকে
তোমরা জেনে নিও।
আমি মনে করি এবার নিজেরাই যখন বইটি খুলে তোমরা তিনটি গল্প পড়বে, খুব
আনন্দ পাবে।
একের মধ্যে তিন
আশাপূর্ণা দেবী। পত্র ভারতী। ৩/১ কলেজ রো, কলকাতা— ৭০০ ০০৯।

 

 

 

Comments :0

Login to leave a comment