বিদ্যুৎ বিভ্রাট দীর্ঘদিনের। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উলটে প্রতিবাদী জনতার ওপর গুলি চলেছে। আটক করে রাখা হয়েছে বাসিন্দাদের। সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।
মানিকচকের জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে সোমবার এই দাবিতে সরব হলেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর মানিকচকে চলছে বিদ্যুত বিভ্রাট। গত ১৮ জুলাই মানিকচকের দশ জায়গায় মানুষের স্বতস্ফূর্ত বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ তুলতে পুলিশের অতি সক্রিয়তা, পাল্টা পুলিশের উপর মানুষের ক্ষোভ এবং পুলিশের গুলি চালনা ও পরবর্তীতে প্রচুর মানুষকে পুলিশের গ্রেপ্তার- এই সব ঘটনা নিয়েই বক্তব্য জানান নেতৃবৃন্দ।
জেলা পুলিশ সুপারের পরিবর্তে স্মারকলিপি নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( হেড কোয়ার্টার)। তিনি প্রতিনিধি দলকে বলেন বিষয়টি তিনি পুলিশ সুপারের নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী, সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র, সিপিআই(এম) নেতা কৌশিক মিশ্র ও মানিকচকের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মোত্তাকিন আলম।
সোমবার সকালে সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা মানিকচকে এনায়েতপুর সহ সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন ও এলাকার মানুষদের সাথে কথা বলেন। পরে কংগ্রেস দপ্তর হায়াত ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন ঈশা খান চৌধুরী, অম্বর মিত্র, কৌশিক মিশ্র ও মোত্তাকিন আলম।
অম্বর মিত্র বলেন বলেন, ‘‘মানিকচক ব্লকের বিদ্যুতের সমস্যা প্রায় এক বছরের বেশী সময় ধরে চলছে। তীব্র গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ঐদিন ব্লকের ১০ জায়গায় অবরোধ করে। এটি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। সর্বস্তরের দলমত নির্বিশেষে মানুষ এই অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। যার মধ্যে এনায়েতপুরে এই অবরোধ জোর করে পুলিশ তুলতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে অবরোধ কারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করলে আইসি সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। আশ্চর্যজনক হলো এই ঘটনার পর বিদ্যুত পরিষেবা চালু হয়েছে। যদি বিদ্যুত দপ্তর আগেই সক্রিয় হতো তবে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটত না।’’
Comments :0