Droho Carnival

জনগর্জনে কল্লোলিত দ্রোহের কার্নিভাল, ডা. তপোব্রতকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল পুলিশ

রাজ্য কলকাতা

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে চলছে বিচারের দাবিতে স্লোগান। প্রতিটি মেট্রোর ভিতরেও তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে স্লোগান উঠছে। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছেন দ্রোহের কার্নিভালে। সবার মুখে একটাই স্লোগান তিলোত্তমার বিচার চাই।


দ্রোহের কার্নিভাল আটকাতে প্রশাসন বড় বড় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ। শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় গার্ডরেল। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুধুমাত্র গার্ডরেল নয় বেসরকারি বাস দিয়েও রাস্তা আটকে রাখা হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ সহ তার আশপাশের রাস্তায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ নম্বর ধারা জারি করা হয় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলায় দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। লৌহকপাট সরতেই জনস্রোত ভেসে যায় রাজপথ। ঢাকের তালে তালে মানুষ নাচতে থাকেন। ঢাকের আওয়াজে, স্লোগান স্লোগানে মুখরিত হয় এই প্রতিবাদী মিছিল। 
অনশনের সমর্থনে ব্যাচ পড়ে আসার জন্য চিকিৎসক তপব্রত রায়কে সরকারি কার্নিভাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রেড রোড কার্নিভালের ক্যাম্প থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় আটক করে ময়দান থানায় নেয়া হয়েছে। চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের নিয়ে এদিন বিবৃতি দিলেছে আইএমএ বেঙ্গল শাখা। আইএমএ জানিয়েছে, এই চিকিৎসক সরকারি দায়িত্বি পালন করছিলেন। পোশাকে অনশনের সমর্থনে কেবল একটি ব্যাচ ছিল। বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিকিৎসক তপব্রত রায়কে অবিলম্বে কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করাতে হবে। নচেৎ, আইএমএ অ্যাকশান কমিটির তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 


এদিন সাংবাদিকদের আরজি করে নির্যাতিত নিহত জুনিয়র চিকিৎসকরা মা বাবা বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রাণের ঝুকি নিয়ে অনশন করছেন।  ৫ জনের অবস্থা সংকটজনক। তবুও মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভালে ব্যস্ত, তার সময় নেই সমস্যার সমাধানের। তাঁর সময় হচ্ছে না, অনশনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করার এবং সমস্যার সমাধান করার। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারই আমার মেয়ের ঘটনার সাথে যুক্ত। চিকিৎসকদের ডাকা দ্রোহের কার্নিভাল আটকানোর বিষয়ে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা বলেন, পুলিশ আবার আজ থাপ্পড় খেলো হাইকোর্টে। তাঁরা ফের দাবি করেছেন, এই পুলিশই আমাদের সামনে বসিয়ে মেয়ের খুনের প্রমান লোপাট করেছে। এদিন সন্ধ্যায় চিকিৎসক তপোব্রতকে অন্যায়ভাবে আটকের প্রতিবাদে ময়দান থানার সামনে নাগরিক বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন রাত পৌনে নটা নাগাদ নাগরিক চাপে ডা: তপোব্রতকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment