Kolkata High Court

ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন সন্দীপ ঘোষ

রাজ্য কলকাতা

মরিয়া চেষ্ট করেও ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ধৃত আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিরোধিতা করে যে আবেদন করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ তা ফের খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই প্রেক্ষিতেই সন্দীপ ঘোষ সহ চার অভিযুক্তের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।  বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাঁর আগের দেওয়া নির্দেশই বহাল রেখেছেন। অর্থাৎ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ সহ ৫জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনে আর কোন বাধা রইলো না।  
আলিপুর আদালতের সিবিআই আদালতের বিচারক মঙ্গলবারই নির্দেশ দিয়েছিলেন বুধবার এই মামলার চার্জ গঠন করতে হবে। আলিপুর আদালতের এই নির্দেশের পরই সন্দীপ ঘোষ আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে চার্জ গঠন পিছিয়ে দেবার আবেদন জানিয়েছিলেন। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীরা হাইকোর্টে বলেন, সিবিআই প্রায় ১৫হাজার পাতার রিপোর্ট দিয়েছেন। এই রিপোর্ট পড়তে সময় লাগবে। বিশেষ করে সিবিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তার কোন সূচিপত্র নেই। কোন পাতায় কী লেখা হয়েছে তা খুঁজে বের করতে সময় লাগবে। ফলে আমাদের মক্কেলের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে। ফলে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হোক। 
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এদিন এই মামলা শুনতে রাজি হননি। এরপরই ওই আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁরা প্রধান বিচারপতিকে বলেন, এই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হোক। বিচারপতি শিবজ্ঞানম এই মামলাটি শুনানি বিকালে ফের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে হবে বলে নির্দিষ্ট করে দেন। বুধবার বিকালে বিচারপতি ঘোষ তাঁর আগের দেওয়া নির্দেশই বহাল রাখেন।
আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আশিস পান্ডে, হাওড়ার ব্যবসায়ী সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বিপ্লব সিং, ওষুধ সরবরাহকারী সুমন হাজরা এবং আর জি করের ক্যান্টিন চালানোর দায়িত্বে থাকা আফসার আলি। এরা সকলেই জেলে রয়েছেন। আর জি কর হাসপাতলে পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার সঙ্গে হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলা শুরু হয়েছিল।  আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি মামলা দায়ের হয়েছিল। একটি মামলা দায়ের করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। মামলাকারী আখতার আলির মামলাটি শুনানি চলছিল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, তাঁর বিরুদ্ধে মৃতদেহ লোপাট এবং হাসপাতলের বর্জ্য বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট ফের চার্জ গঠনের নির্দেশ বহাল রাখায় নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া (ট্রায়াল) শুরু করতে বাধা রইলো না।

Comments :0

Login to leave a comment