নতুনপাতা
জানা অজানা
কুকুরের মতন ডাকলেও কুকুর নয়
তপন কুমার বৈরাগ্য
ভারতের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে গেলে কুকুরের মতন ডাক
শোনা যায়। সবাই ভাববে আশে পাশে কোথাও কুকুর আছে।
কিন্তু ঘন বনের মধ্যে দেখা যাবে একশ্রেণির হরিণ।যাদের গায়ে
কোন ছোপ নেই। লাজুক প্রকৃতির ,লালচে বাদামী এদের
গায়ের রঙ। গলার দিকটা কিছুটা সাদা।ছোট্ট লেজটাও সাদা।
এদের মায়া হরিণ বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের হরিণের মধ্যে এই
প্রজাতির হরিণ সবচেয়ে প্রাচীন। আজ থেকে বারোহাজার
বছর আগেও এদের অস্তিত্ব ছিল। মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুর
ফিলিপাইনস,থাইল্যান্ড,ভিয়েতনামে এদের দেখা যায়। পঁচিশ থেকে
ত্রিশ বছর বাঁচে। এদের কান খুব শক্তিশালী।এরা সবদিকেই
কান ঘুরাতে পারে। ওজনে সতেরো থেকে কুড়ি কেজি পর্যন্ত
হতে পারে। উচ্চতায় বাইশ থেকে পঁচিশ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।
এদের দৃষ্টি শক্তি খুব প্রখর।বিশেষ করে রাতে এরা খুব ভালো
দেখতে পায়।এরা যখনই কোনো বিপদের গন্ধ পায় তখন এরা
ঘেউ ঘেউ করে ডাকতে থাকে।অন্যান্য মায়া হরিণও সাবধান
হয়ে যায়। এদের কুকুরের মতন ডাকের জন্য এদের বার্কিং
ডিয়ার বলে।প্রকৃতি থেকে মায়া হরিণ এই ধরনের শব্দ পেয়েছে
বলে শিকারীদের হাতে এরা মারা যায় না বললেই চলে।
পুরুষ মায়া হরিণের শিং নষ্ট হয়ে গেলে আবার নিজে থেকেই
গজিয়ে ওঠে। ঘন জঙ্গলে এরা থাকতে খুব পছন্দ করে।
Comments :0