বাধা ছিল কুখ্যাত হয়ে ওঠা ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র মাথার। রবিবার সেই বাধা ভেঙে জলপাইগুড়িতে মিছিল করল চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ।
আর জি কর হাসপাতালের পড়ুয়া চিকিৎসকের ওপর নৃশংস অত্যাচার ও খুন ঘটনার প্রকাশ্যে আসতেই তথ্য-প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক বিষয়ে বারবার নাম উঠে আসছিল প্রভাবশালী উত্তরবঙ্গ লবির। যার অন্যতম প্রধান প্রভাবশালীর নাম মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চিকিৎসক সুশান্ত কুমার রায়ের। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে ডাক্তাররা আরজি করার ভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হলেও, অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে জলপাইগুড়ি আইএমএ-কে পথে নামতে বাধা দিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি আইএমএ’র সম্পাদক সুশান্ত রায়।
এর মধ্যে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জলপাইগুড়ি শাখা সভা করে সুশান্ত কুমার রায় তাঁর পুত্র ও আরেক প্রভাবশালী ডাক্তার অভীক দে-কে আইএম’র প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে উচ্চতর কমিটির কাছে। সেদিনই সিদ্ধান্ত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার জলপাইগুড়ি সমাজ পাড়ায় আইএমএ’র দপ্তরে সামনে থেকে মিছিল হবে। সব মানুষকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন আইএমএ’র জলপাইগুড়ি শাখা। এই মিছিলকে সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে থেকে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেয় জলপাইগুড়ি নাগরিক সংসদ। রবিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির অধিকাংশ চিকিৎসক, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী শহরের নাগরিকরা, কোচবিহারের মাথাভাঙায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত শিল্পীরা অংশ নেন এই প্রতিবাদ মিছিলে।
আইএমএ’র জলপাইগুড়ি শাখার মিছিলের ফ্লেক্সে অনবদ্য ক্যাপশন: ‘আমার মায়ের রক্ত চোখ তোমার বুকের আগুন হোক’। মিছিলের জনজোয়ার আর জি করের ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানায়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সহ রাজ্যের সমস্ত ক্ষেত্রে শাসকের ভীতির পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মুখরিত ছিলেন সমস্ত অংশের মানুষ।
দুপুরে আর জি কর এর ঘটনার সমস্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়ে শহরে মিছিল করে এসএফআই।
Comments :0