Kharge Ramleela

রামলীলায় বিশাল সমাবেশ, মসজিদ সমীক্ষার লক্ষ্য বিভাজন, ক্ষোভ খাড়গের

জাতীয়

আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন ফেডারেশনের আহ্বানে রবিবার সমাবেশ দিল্লির রামলীলা ময়দানে।

সংরক্ষণের সীমা বাড়ানো এবং জাতিগত জনগণনার দাবিতে রামলীলা ময়দানে সরব হলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। 
রবিবার রামলীলা ময়দানে সমাবেশে খাড়গে বলেছেন, ‘‘গত ১১ বছর সংবিধানকে ধ্বংস করতে সক্রিয় থেকেছে বিজেপি সরকার। সংসদীয় প্রতিষ্ঠান এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে। বিরোধী স্বর স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘মসজিদে মসজিদে সমীক্ষার নামে সমাজে বিভাজন গভীর করতে নেমেছে বিজেপি।’’
খাড়গে বলেছেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলিত, আদিবাসী, সংখ্যলঘু সংগঠনগুলি রামলীলা ময়দানে সমবেত হয়েছে। এই সমাবেশ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের প্রতীক।’’ 
খাড়গের দাবি, জাতিগত জনগণনা করতে হবে। সামাজিক নিপীড়নের শিকার সামাজিক অংশগুলির জন্য সংরক্ষণের সীমা বাড়াতে হবে জনসংখ্যার অনুপাতে। সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে।
এদিন বিভিন্ন দলিত, আদিবাসী, সংখ্যলাঘু সংগঠনের ফেডারেশন সমূহ একযোগে রামলীলা ময়দানে সমাবেশের ডাক দেয়। তিনি বলেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে কাউকে নিরাপদ থাকতে দিচ্ছেন না। তাঁর অনুমোদন ছাড়া মসজিদ-সমীক্ষা কার্যক্রম চলতে পারে না। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতা কী চাইছেন লালকেল্লা, তাজমহল, কুতুব মিনার বা চারমিনারের মতো সৌধও ভাঙতে? মুসলিম রাজা বা সম্রাটের সময়ে তৈরি সব স্থাপত্য ভাঙতে চাইছেন?’’ 
মন্দির-মসজিদ বিতর্ক সম্প্রতি তীব্র হয়েছে উত্তর প্রদেশের সম্ভলে। ষোড়শ শতকের এক মসজিদ মন্দির ভেঙে তৈরি বলে হিন্দুত্ববাদী একাংশ নিম্ন আদালতে আবেদন জানায় সমীক্ষার। সমীক্ষার অনুমোদন মিলতেই বিশাল পুলিসবাহিনী মসজিদে ঢোকে। অভিযোগ, পুলিশি উত্তেজনা তৈরি করেছে। যার জেরে সংঘর্ষ হয়। নিহত হন পাঁচ যুবক। 
খাড়গে বলেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে দেশের একতা রক্ষা করতে হবে। মোদী এবং তাঁর সঙ্গীরা বিভাজন বাড়াতে চাইবে। আমাদের তা রুখতে হবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment